পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংগ্রাম ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তা না হলে দেশের এই গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে বের হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোলমডেল শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু কাজে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে একটি ফ্যাসিবাদি রাষ্ট্র তৈরি করেছে, এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের কোনো বিকল্প নেই। সংগ্রাম ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। তাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের মতো তাদেরকে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) ক্ষমতা দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ এবং সরকার গঠন করা হবে। তাহলে সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে। জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় এটা অত্যন্ত পরিষ্কার হয়ে গেছে, যদি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হয়, তাহলে কখনও একটি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয় না। কখনও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার গঠিত হয় না। জনগণের যে সমস্যা তার সমাধান হবে না। গণতন্ত্র মুখের কথা নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র চর্চার বিষয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণ করতে হলে গণতান্ত্রিক সংগঠন গড়ে তুলতে হয়। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্মাণ করতে হয়। আজকে পরিকল্পতিভাবে বাংলাদেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পরিকল্পিতভাবে সব প্রতিষ্ঠানে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, সেগুলোকে পুনরায় নির্মাণ করার সুযোগ হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, আসুন আর কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নয়, দেশকে রক্ষা করার জন্য, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে একটা দুর্বার সংগ্রাম গড়ে তুলি। যে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই ফ্যাসিবাদি, স্বৈরাচারী সরকার ও একনায়কত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।