Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পাঁচটি ট্রলারসহ ৬৫ জেলে নিঁখোজ

প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পরে মৎস্যবন্দর আলীপুর- মহিপুরের ৬৫ জেলে নিঁখোজ থাকার খবর পাওয়া গেছে। রোববার শেষ বিকেল পর্যন্ত জেলেদের বরাদ দিয়ে মনিপুর আড়দদার সমিতির সভাপতি ফজলু গাজী জানিয়েছেন, পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলারে নিঁখোজ জেলে বাষট্রি এবং শনিবার দু’টি মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিন জেলে নিখোঁজ থাকায় এ অঞ্চলে পঁয়ষট্টি জেলে নিঁখোজ রয়েছে। সমুদ্র থেকে ফিরে আসা জেলেদের কাছে নিখোঁজ ওইসব জেলে পল্লীর স্বজনরা ভিড় করছেন। 

উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমিতির সূত্রে জানা গেছে, প্রজনন মৌসুমের পর কয়েক হাজার জেলে এক সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে গভীর সমুদ্রে যায়। আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে মৎস্য বন্দর আলীপুরের ইউসুফ কোম্পানির মালিকানাধীন এফবি তামান্না ট্রলারের ১৮ জেলে, মনিপুর আড়দের জয়দেব বাবুর মালিকাধীণ এফবি মা-বাবা ট্রলারের ২০ জেলে, এফবি তোতা ট্রলারের ১৪ জেলে, নামবিহীন দুটি ট্রলারের ১০ জেলেসহ ৫ টি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাষট্রি জেলে নিখোঁজ রয়েছে। ডুবে যাওয়া এফবি শুকতারা-০২ মালিক আব্দুল কাদের মাঝি জানান, তার মাছ ধরার ট্রলার এফবি শুকতার-২ শনিবার রাতে ১৭জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ডুবে যায়। উদ্ধারে অংশ নেয়া এফবি ভাইভাই ট্রলারটি জেলেদের উদ্ধার করে উপকূলে ফেরার পথে সেটিও দুই ট্রলারের ৩৩ জেলে ডুবে যায়। এসময় অপর একটি মাছধরা ট্রলার এফবি মহসিন আউলীয়া ডুবে যাওয়া দুই ট্রলারের ভাসমান ৩৩ জেলের মধ্যে ৩০ জেলেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলে তিন জেলের রোববার শেষ বিকেল পর্যন্ত হদিস মেলেনি বলে ওই দুই ট্রলার মালিকরা দাবী করেছেন। 
এছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় ডুবে যাওয়া মাছধরা ট্রলার দুটি এবং মাছধরা কোন সরঞ্জাম উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি জানানো হয়েছে। 
শুকতারা-০২ ট্রলারের মালিক আব্দুল কাদের মাঝি অভিযোগ করে বলেন,কেবল তার ট্রলারটি উদ্ধার করা না গেলে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হবে। 
কলাপাড়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি নুরু মাঝি বলেন, শুধুমাত্র মৎস্য বন্দর আলীপুর- মহিপুরের দুটি ট্রলার ডুবি ও পাচঁটি ট্রলারসহ ৬৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
মনিপুর মৎস্য আড়ৎদার ও বরফকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলু গাজী সাংবাদিকদের জানান, সমুদ্রের কাছাকাছি মোবাইল ফোনে জেলেদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। গভীর সমুদ্রে নেটওয়ার্ক থাকেনা। এখন নিখোঁজ মাছধরা ট্রলার ও জেলেদের ভাগ্যে কি ঘটেছে এ নিয়ে সবাই উৎকণ্ঠিত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ