পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সাধারণ মানুষ যদি ভোট দিতে পারে এবং তা গণনা হয় দেখা যাবে আওয়ামী লীগ ১০ ভাগ আসনও পাবে না। তাই সরকার নিজেদের মতো করে আর একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে। তা হতে দেওয়া যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত লেখক মুশতাক আহমেদ স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
জোনায়েদ সাকী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। এ সরকার এখন নির্বাচন করবেন তাদের মতো করে। কখনো ১৪ সালের মতো করবেন কখনো ১৮ সালের মতো করবেন। তারা হয়তো ঠিক করবেন, আমাদের মতো আমাদের সঙ্গে আসেন, একটি দুটি আসন নিয়ে যান। বাংলাদেশের অবস্থা এখন এমন যে দেশটা নাগরিকদের হবে নাকি একটি পরিবারের হবে।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে ২০২১ সালে মুশতাক আহমেদ কারাগারে নিহত হলেন। মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হল সঙ্গে আরও ১২ জনের নামে। আপনারা কার্টুনিস্ট কিশোরের কথাও জানেন। কিশোর যদি জামিন পায় তাহলে মুশতাক কেন জামিন পেলেন না?
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারকে সরাতে হবে। তাতে কোনো আলোচনার প্রয়োজন নেই। এ দেশের রাজনীতির রও যারা বুঝে তারা জানে অত্যাচার থেকে বাঁচতে এ সরকারকে অপসারণ করতে হবে। আর সেটা জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া হলে তা কখনো লাভজনক হয়নি তা প্রমাণিত।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের রিমান্ড মানে ধরে নেওয়া হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হবে। এভাবেই লেখক মুশতাককে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে। শুধু মুশতাক একা নয়, এর আগেও অনেককে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। বলা হল মুশতাকের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে কিশোরে জামিন হয়েছে। মুশতাকের মৃত্যু না হলে হয়তো কিশোরেরও এভাবে মৃত্যু হতো। আপনি বলছেন, আইনের চোখে সবাই সমান। কিন্তু ৬ বার আবেদন করার পরও তাকে আপনি জামিন দিলেন না।
তিনি বলেন, আগামী রোববার বা সোমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবেন। যেই হোক না কেন এটা আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী দফতর বা তার দিক থেকে যে তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হবে প্রেসিডেন্ট সেটাই ঘোষণা করবেন। এর বাইরে অন্য কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। আরেকটা হুদা মার্কা কমিশন তৈরি হবে।
রাস্তা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কারের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।