Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে বিশ্ববাসীকে বোকা বানাতে চায় সরকার মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চলতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে প্রহসন বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রহসনের নির্বাচন করে বিশ্ববাসীকে বোকা বানাতে চায় সরকার। এটাকে আজকাল অনেকে আখ্যা দিচ্ছেন, দিস ইজ দ্য ইলেকশন প্রজেক্ট। এই প্রকল্পের নাম করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দেখিয়ে তারা আসলে জনগণ ও বিশ্ববাসীকে বোকা বানাতে চায়।
‘জিয়া পরিষদ’-এর ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে জিয়া পরিষদের শত শত নেতা মাজার প্রাঙ্গণে জমায়েত হন। পরে শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় মুনাজাত করা হয়। এ সময় জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবির মুরাদ, ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, ড. এমতাজ হোসেন, এম জহির আলী, ড. মুস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভোটের আগেই শতাধিক ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, অতীতে কখনো দেখেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীহীন নির্বাচন হয়েছে? ইউপি নির্বাচনের আগের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে। আমি খবর পেলাম সেখানে আগের রাতেই সমস্ত ব্যালট বাক্স ভরে ফেলা হয়েছে।
প্রহসন জেনেও বিএনপির ভোটে অংশ নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। আমরা কী করতে পারি? আমরা তো বিপ্লবী দল নই যে অন্যভাবে কিছু করব। আমরা গণতান্ত্রিক দল। আমাদের নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। সেই নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনে সরকার দলীয়রা সন্ত্রাস করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক দল বলেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমাদের নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেভাবে আগ্রহের সঙ্গে এসব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, একইসঙ্গে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা যেভাবে ত্রাস সৃষ্টি করে ফলাফল ছিনিয়ে নিচ্ছে, তাতে সরকার যে তথাকথিত মুখোশ পরে আছে, তা উন্মোচিত হচ্ছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে চেয়ারপার্সনকে আরো ক্ষমতা দিয়ে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে কিনা প্রশ্নে উঠেছে তা নাকচ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করা হয়নি। আপনাকে বুঝতে হবে এটা কিন্তু ডেমোক্রেটিক সেন্ট্রালাইজেশন বলে একটা কথা আছে। কাউন্সিলই গণতান্ত্রিকভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা দিয়েছে। এমন না যে তিনি নিজেই ক্ষমতা নিয়ে নিয়েছেন। কাউন্সিলই তাকে ক্ষমতা দিয়েছে। বিএনপি একটা বিশাল রাজনৈতিক দল। সেই রাজনৈতিক দল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য কাউন্সিল মনে করেছে যে, এটাই উপযুক্ত, সেজন্য তারা (কাউন্সিলররা) এটা করেছে।
শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে জিয়া পরিষদ অতীতে যেভাবে ভূমিকা রেখেছে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ করে তিনি বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে সরকারের অনৈতিক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে বিশ্ববাসীকে বোকা বানাতে চায় সরকার মির্জা ফখরুল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ