বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নির্বাচনী সহিংসতার মামলা প্রত্যাহার না করায় নব নির্বাচিত ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে ঘর থেকে ডেকে বের করে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে পরাজিত ইউপি মেম্বার প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিককে (৪৪)। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে কুতুবপুর গ্রামের মৃত লুৎফুর রহমানের পুত্র শফিকুল ইসলাম শফিক ও একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের পুত্র হারেছ মিয়া অংশ গ্রহন করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। নির্বাচনে হারেছ মিয়া মেম্বার পদে জয়লাভ করার পর ঐ দিন রাতেই বিজয় মিছিল নিয়ে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী শফিক ও তার চাচাতো ভাই প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ব্যাপারে শফিক বাদী হয়ে হারেছ মিয়াসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে মামলা আসামীরা বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা ধরণের চাপ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে মেম্বার হিসেবে হারেছ মিয়া শপথ নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার নেতৃত্বে আলী হোসেন, এনামুল, মাসুদ, খায়রুলসহ ১৫/২০ জন লোক শফিকের বাড়ীতে গিয়ে তাকে ডেকে বের করে এলাপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার আর্ত-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হারেছ ও তার লোকজন চলে যায়। মূমুর্ষ অবস্থায় শফিককে উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাহনেওয়াজ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।