বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ নুর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় শুধু সেলিম মিঞা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি নিহতের স্ত্রী আসামি আকলিমা ঘটনার পর গ্রেফতার হলেও পরে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী আকলিমা খাতুন, শালগ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিঞা ও গোপালপুর গ্রামের মৃত গোলাপ রহমানের ছেলে আইনুল (৩৭)। মামলার বিবরণে জানা যায়, আকলিমা খাতুনের স্বামী রহিম বাদশাকে (৩৭) গলা কেটের হত্যার অভিযোগে তাদের এ দণ্ড দেয়া হলো। নিহত রহিম বাদশা দিনাজপুর জেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের শাহাদত হোসেন ওরফে সাদার ছেলে। রহিম বাদশা একজন ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসের চালক ছিলেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি জানান, স্বামীর সহকারী হিসেবে কাজ করত সেলিম মিঞা। এই সুবাদে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। পরে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘ দিন ধরে চলা এ সম্পর্কের জেরে তারা অবৈধ সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা আকলিমা খাতুনের স্বামী রহিম বাদশাকে তাদের পথের কাটা মনে করেন। ২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে আকলিমারর পরকীয়া প্রেমিক সেলিম মিঞা তার বন্ধু আইনুলকের নিয়ে রহিম বাদশাকে মাইক্রোবাসের মধ্যে গলাকেটে হত্যা করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বারকান্দি নামের স্থানে রাস্তার ধারে মাইক্রোবাসে চালকের আসনে বসা অবস্থায় মরদেহ রেখে চলে যান।
এরপর পরদিন ১১ জুলাই নিহত রহিম বাদশার পিতা শাহাদত হোসেন ওরফে সাদা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।