বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে ‘গভীর’ ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ আনলেন সেন্টমার্টিনের পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকেরা। একটি পক্ষ কক্সবাজার থেকে পর্যটকদের বিমুখ করতে এই ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ আনেন তারা।
সম্প্রতি সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৩ দফা সুপারিশ এই ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবী করেন জাহাজ মালিকদের সংগঠন ‘সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- স্কোয়াব এর নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এই সংগঠনের ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
সম্প্রতি সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারী করা ১৩ দফা সুপারিশ ষড়যন্ত্রের অংশ দাবী করে সেন্টমার্টিনের পর্যটক সীমিত করণের প্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপতি তোফায়েল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর হোসাইন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সুপারিশ করা ১৩ দফার মধ্যে পর্যটক সীমিত করণ সুপারিশ কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের জন্য বিরাট অশনি সংকেত। তাদের মতে সেন্টমার্টিনের আকর্ষণেই এক তৃতীয়াংশ পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। এই প্রেক্ষিতে পর্যটক সীমিত করলে তা কক্সবাজারের সামগ্রিক পর্যটন শিল্পের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। সেন্টমার্টিনে যদি পর্যটক সীমিত করা হয়, তাহলে কক্সবাজারে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি হোটেল মোটেল ও ব্যবসা এবং পর্যটন খাতের লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগে ধস নামবে।
স্কোয়াব’র সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর হোসাইন বলেন, টেকনাফ থেকে ১০ টি জাহাজে দৈনিক তিন হাজার পর্যটক আসা যাওয়া করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ১৩ দফার আলোকে দুটি জাহাজে মাত্র ১হাজার ২০০ পর্যটক সেন্টমার্টিনের গমণ করতে পারবে। এই হারে পর্যটক যাতায়াত কমানো হলে পর্যটন শিল্পের সবকিছু ভেস্তে যাবে। অন্যদিকে অনেক পর্যটক কাঠের নৌকায় করে যেতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকিতে পড়বে।
স্কোয়াব’র সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, সেন্টমার্টিন নিয়ে যে ১৩ দফা সুপারিশ করা হয়েছে তার সাথে মাঠ পর্যায়ের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। মূলত কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিরোধিতার অংশ হিসেবে অতিরঞ্জিত করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাঠ পর্যায়ের চিত্র ওয়াকিবহাল না থাকায় এই ১৩ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে অনুমোদন দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৩ দফা সুপারিশের সাথে সমন্বয় রেখে সেন্টমার্টিনের পর্যটনকে স্বাভাবিক রাখার দাবী জানিয়েছেন স্কোয়াব নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, বর্তমানে চলাচলরত ১০টি জাহাজে করে সর্বোচ্চ ৩হাজার পর্যটক যাতায়াত করবে। দ্বীপের আবাসিক হোটেলগুলোর ১হাজার ৪০০ কক্ষে একজন করে দৈনিক ১হাজার ৪০০ পর্যটক সেন্টমার্টিনে রাত্রি যাপন করবে। অবশিষ্ট ১হাজার ৬০০ পর্যটক গন্তব্যে ফিরে আসবে। সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে চান বলে জানান জাহাজ মালিকেরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।