Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে শিক্ষার্থীদের ৪ ঘন্টার অবরোধ

খোঁড়াখুঁড়িতে সীমাবদ্ধ সংষ্কার কাজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৭ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে প্রায় ৪ ঘন্টা গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের অবরোধে একাত্মতা পোষণ করেছেন এলাকাবাসী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে ১০ দিনের মধ্যে সড়ক সংস্কারের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয় গত বছরের আগস্ট মাসে। কর্তৃপক্ষের দায়সারা কার্যক্রমের কারণে খোঁড়াখুঁড়ির মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে সংস্কার কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী এলাকায় পিকনিক স্পট থাকায় সবসময়ই চলাচল করে ভারী পরিবহন। ফলে সড়কের ধুলোবালির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও সড়কের আশেপাশে রয়েছে খাবারের হোটেল ও মুদির দোকান, যা ধুলোবালির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিণত হচ্ছে। এদিকে গেল বছরের মাঝামাঝি এলজিইডি থেকে এ কাজের দায়িত্ব নেন মোস্তাফা কামাল লিটন নামের এক ঠিকাদার। পরে চৌয়ারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে ম্যানাজারের দায়িত্ব দেন। কিন্তু ৭ মাস পার হলেও খোঁড়াখুঁড়ির মাঝেই বন্ধ রয়েছে সংষ্কার কাজ।
দীর্ঘসময়ে সংস্কার শেষ না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। ইমাম হোসেন নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, রাস্তা মেরামত করার নামে পুরো রাস্তাটাকে খুঁড়ে বেহাল অবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ যার দরুণ ধুলোবালির আখড়া হয়ে পড়ে এই সড়কটি। চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। আমরা চাই এর একটা সমাধান হোক। বিশ্ববিদ্যালয় ও উপজেলা প্রশাসন দ্রুত কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে তাই আমাদের অবরোধ স্থগিত করেছি। ১০দিনের মাঝে কাজ শুরু না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।
মো. মোশের্দ নামের এক এলাকাবাসী বলেন, একটি ভাল সড়কে খুঁড়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এতদিন সংস্কার না করার কারণে রাস্তার ধুলোবালিতে ভরে গেছে। এখানে প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসে। ঠিকাদাররা যেন দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার দাবি আমাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, এই রাস্তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ না। তবে শিক্ষার্থীরা যেহেতু সড়ক অবরোধ তাই আমি উপাচার্যের সাথে কথা বলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। এছাড়া আমরা নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি যাতে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করে।
ম্যানাজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার কিছু বিল আটকে আছে। তবুও আমি আগামী ১০ দিনের মাঝে কাজ শুরু করব। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু হল পর্যন্ত কাজ করে দিব।
এবিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের বিষয়ে শুনেছি। এ সংস্কার কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় লিটন নামের এক ঠিকাদারকে। তিনি আবুল কালাম আজাদকে ম্যানাজারকে দায়িত্ব দেন। আমরা ঠিকাদাদের সাথে গতকাল বসে কাজটি শেষ করতে বলেছি। ৭দিনের মধ্যে কাজ শুরু না করলে আমরা লিগ্যাল এ্যাকশন নিব।’
এলজিইডি কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ইফতেখার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ঠিকাদারকে বলেছি এক সপ্তাহের মাঝে যেন সংস্কার কাজ শুরু করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ