পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এ সরকার বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে। সরকারের সঙ্গে যাদের আত্মার, বন্ধুত্বের ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তারা এখন দূরে সরে গেছে। ভোটারহীন সরকারের পাশে দেশের মানুষ যেমন নেই, তেমনি অন্য বন্ধুরাও নেই। তাই এ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায়র আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাঁধন যতই শক্ত করেছেন ততই ঢিলে হয়েছে। পত্রিকা বন্ধ করেছেন, টেলিভিশন কথা বলেছে। টেলিভিশন বন্ধ করেছেন, বিশ্বের সব জায়গার টক-শোতে বাংলাদেশের কথা বলছে। যতই কথা বন্ধ করার চেষ্টা করবেন ততই সামাজিক মাধ্যমে কথা হবে। কথা বন্ধ করতে পারবেন না। কথা বন্ধ করতে পারবেন না বলেই মানুষের মনে ঘৃণা জন্মেছে।
তিনি বলেন, মানুষ আমাদের বলে আপনারা এখনও কী করেন সরকারকে ফেলতে পারেন না কেনো? ফেলতে পারি না যেমন ঠিক। নিজেদের গোছাতে হবে। নাগরিক ঐক্যেকেও গোছাতে হবে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, এতো ভয় কেন ? সরাসরি সোজাসাপ্টা কথা বলি দেখে। কথা বলতে ভয় করেননি সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার। তাদের থেকেই সাহস নিয়েই আমি সরকারের বিরোধিতা করছি।
মান্না বলেন, সরকারের সঙ্গে যাদের আত্মার,বন্ধুত্বের ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত সময় চায়। এতদিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে নাকি? নির্বাচন কমিশনের ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছে। পত্রিকায় দেখলাম কাদের নাম নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব করেছেন সবাই দেখতে চায়। ওরা (সরকার) বলছে, বলবো না। এ কারণেই বলবে না, ওদের মধ্যে থেকে নাম প্রস্তাব করে রাখা হয়েছে। নামগুলো তারাই (আওয়ামীলীগ) প্রস্তাব করে রেখেছে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, চলে যাও (সরকার)। এরশাদ সাহেবকে বলেছিলাম যেতে হবে। এরশাদ সাহেব বলেছিলেন কেমনে নামবো। তখন বলেছিলাম যেভাবে এসেছেন, সেভাবেই নেমে যান। তারপরে আমরা কী করব, আমরা নিজেরা ঠিক করব।
নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কথা খুব স্পষ্ট। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে। সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চাইছে না। কিন্তু দলগুলো ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার হবে, অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। কেউ কেউ বলেন আমরা চাই কেয়ারটেকার সরকার। কেয়ারটেকার মানে তিন মাসের সরকার? ১২ বছরে এই সরকার যত দুই নাম্বারী (দুর্নীতি) করেছে মুছে ফেলতে পারবে। নির্বাচন কমিশন কী নির্বাচন করেন? নির্বাচন করে ডিসি-এসি-ওসিরা। নির্বাচনের জন্য ডিসি-এসি-ওসি প্রশাসন ঠিক করতে কত দিন সময় লাগে?
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ছাত্র ঐক্য উপদেষ্টা এস এম আকরাম, নাগরিক ছাত্র ঐক্য সভাপতি মোশারফ হোসেন, নাগরিক ঐক্য সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লা কায়সার, নাগরিক যুবক ঐক্য সদস্য সচিব স্বপ্না আক্তার, নাগরিক ঐক্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য মফাককেরুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্য প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী দিপু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।