পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কমেছে। পাশাপাশি কমেছে সংক্রমণ এবং নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও। এসময় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ জন। একই সময়ে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৫১ জনের শরীরে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খান স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮৭৪টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫৮টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব ৬৫৯টি। এসব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন বুথ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৩১৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এদিন মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ৯৭টি। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৪টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯১টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৪৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৭টি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন সংক্রমণের পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতেও সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমেছে। আগের দিন এই হার ছিল ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমে হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। একই সময়ে করোনা রোগীদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। আগের দিন করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৯ হাজার ২৫২ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৬৭৪ জন। সংক্রমণের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ। এর একদিন আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মারা যান ২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২৮ হাজার ৯৭৪ জনের। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত এই নয় জনের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ, বাকি চার জন নারী। তাদের আট জন সরকারি ও এক জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। এসময় শুধুমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় সংক্রমণ নিয়ে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বাকি ছয় বিভাগ কেউ মারা যায়নি। নয় জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন তিন জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছর, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর। এছাড়া শূন্য থেকে ১০, ২১ থেকে ৩০, ৭১ থেকে ৮০ বছর এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী এক জন করে মারা গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।