রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভোলার মনপুরায় মেঘনায় অপহৃত এক ট্রলারসহ ৭ জেলেকে ২৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে কোস্টগার্ড ও অপহৃত জেলেদের আড়তদার ইউপি চেয়ারম্যানের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও হাতিয়া কন্টিজেন্ট কমান্ডার ইউপি চেয়ারম্যানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকির অভিযোগ করেছে। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় হাতিয়া কোস্টগার্ড সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে রোববার ভোর ৫টায় হাতিয়ার চরআতাউরে অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ৭ জেলেসহ একটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কোন জলদস্যু আটক করা সম্ভব হয়নি। এদিকে অপহৃত জেলেদের আড়তদার ও ইউপি চেয়ারম্যান অলিউল্লা কাজল দাবি করেন মুক্তিপণের বিনিময় জেলেদের উদ্ধার করা হয়। মুক্তিপণের ২ লাখ ২ হাজার টাকা জলদস্যুদের ৫টি বিকাশ একাউন্টে দেয়ার পর জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের মুক্তি দেয়। তিনি আরও অভিযোগ করে জানান, হাতিয়া কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডারের সাথে মুক্তিপণে উদ্ধার হওয়া জেলেদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে মোবাইলে ফোনে কথা বললে কন্টিজেন্ট কমান্ডার উত্তেজিত হয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। ওই কথাবার্তার অডিও রেকর্ড রয়েছে বলে দাবি চেয়ারম্যানের।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. ইফতেখারুল আলম লিখিত বক্তব্যে জানান, কোস্টগার্ডের অভিযানে উদ্ধার হওয়া জেলেদের তাদের আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, মো. বাবুল মাঝি (৩২), ইসমাইল মাঝি (৩৫) সোহেল সুকানি (৪০), জাহাঙ্গীর মাঝি (৩৫), সোহেল মুন্সি (৩৮), রিয়াজ মাঝি (৩২) ও বাছেত মাঝি (৪৫)। এদের সবার বাড়ি উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামে। উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোর রাত ৬ টায় মনপুরার চরপিয়াল সংলগ্ন মেঘনায় মাছ শিকারের সময় হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী ৭ জেলে ট্রলারে হামলা চালিয়ে এক ট্রলারসহ ৭ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।