বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উত্তরাঞ্চলের স্বপ্নের সেতু কুড়িগ্রামের চিলমারী হতে হরিপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে। হরিপুর-চিলমারী অংশে তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ৩০টি পিলারের মধ্যে ছয়টির ক্যাপ এবং ২৯০টি পাইলিংয়ের মধ্যে ১২১টির নির্মাণ শেষ হয়েছে। প্রতিদিন উৎসুক মানুষ কাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন নির্মাণাধীন সেতু এলাকায়।
সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সংযোগ সড়কে। ২০১৪ সালে সেতু নির্মাণকাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সভা গত বছরের ৬ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) হরিপুর-চিলমারী উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ সড়কে তিস্তা নদীর ওপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়। ২০২৩ সালে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে।
হরিপুর সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সেতুর সংযোগ সড়কে রূপান্তরের কাজ এবং গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ এগিয়েছে চোখে পড়ার মতো। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। কুড়িগ্রামের চিলমারী, রাজীবপুর ও রৌমারী এবং গাইবান্ধাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করা হচ্ছে তিস্তা সেতু। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদীশাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি। এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভেতরের অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাইরের অংশে। সেতুর উভয় পাশে নদীশাসন করা হবে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয়পাশে সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারী মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে সড়ক সেতু থেকে কাশিমবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে।
উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার আশিক রহমান জানান, সেতুটির কাজ শেষ হলে কুড়িগ্রামের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন কৃষকেরা। জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী শামসুল আরেফিন খান জানান, সেতুর কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে ৬টি পিলারের পিয়ার ক্যাপের কাজ এবং ১২১টি পাইলিং নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ব্লক তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত এই নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।