Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পটিয়ায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কোটি টাকার গরু ডাকাতি

খামারিদের সংবাদ সম্মেলন

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রায় সময় গরু-মহিষ চুরি-ডাকাতি হওয়ার কারণে অর্ধশতাধিক খামারি পশু পালনে বিপাকে পড়েছে। একটি ডাকাত চক্র মাইক্রোবাস হাঁকিয়ে মিনিট্রাক সহকারে খামারে ঢুকে দারোয়ান ও কেয়ারটেকারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কিংবা তাদের হাত-পা বেঁধে ট্রাকে তুলে গরু লুটে করে নিয়ে যায়। গত ৪ মাসে পটিয়ায় প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের ১২০টি গরু ও মহিষ অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে খামারিরা জানায়। ডাকাতদের ভয়ে খামারিরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গরু ডাকাতির ঘটনা নিয়ে থানায় মামলা হওয়ার পর ২/৩ জন গ্রেফতার হলেও তারা ১০/১৫ দিনের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসে। খামারিদের অভিযোগ গরু-মহিষ ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ৪৫৭/৩৮০ ধারায় মামলা নেয়ার কারণে গরু ডাকাতেরা দুর্বল ধারায় সহজে জামিন পেয়ে যায়। গরু চোর ও ডাকাতদের ব্যাপারে থানা-পুলিশ কঠোর আইনী পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে খামারিরা পশু পালনে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে গত শনিবার বিকালে পটিয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পটিয়া ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশন তাদের সমস্যার কথাগুলো উল্লেখ করেন।
লিখিত বক্তব্যে জানান, পটিয়ায় নির্ধারিত ৪২টি ফার্মসহ প্রায় ৫০টির অধিক ফার্ম রয়েছে। ফার্মগুলোতে বছরে কোটি কোটি টাকার গরু-মহিষ উৎপাদন হয়। ফার্ম মালিকেরা চট্টগ্রাম অঞ্চলে মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণ করে থাকে। বর্তমানে গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা পশু পালনে সঙ্কটে পড়েছে। তাদের নেয়া ব্যাংক ঋণ ও স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে ফার্ম সৃষ্টি করলেও গরু-মহিষ ডাকাতি হওয়ার কারণে খামারিরা সর্বস্বান্ত হচ্ছে। ডাকাত দল মহাসড়কের ওপর দিয়ে গরু-মহিষবাহী ট্রাক নিয়ে তাদের আস্তানায় নিরাপদে চলে যায়। হাইওয়ে পুলিশ গরু-মহিষবাহী এ ট্রাকগুলোর ব্যাপারে কোন যাচাই বাছাই করে না। গত কিছুদিন আগে জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরুল গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুছ নামের এক খামারির সাড়ে ৪ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করলে গ্রাম্য পুলিশ আবু তাহের নামের এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে দিলে মামলার দূর্বল ধারার কারনে ৮ দিন পর সে জামিন পেয়ে যায়। জামিনে বেরিয়ে এসে আবু তাহের বাদী ইউনুছকে মারার জন্য খুঁজতে থাকে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে গরু ডাকাত দলের গড ফাদার আবদুল নবী প্রকাশ “নব্ব্যা” তার আস্তানায় ডাকাতির গরুগুলো নিয়ে যায় বলে খামারিরা জানান। তাকে গ্রেফতার করলে পুরো সিন্ডিকেটের রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে খামারিদের অভিমত। এ গরু ডাকাতদের ব্যাপারে ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় কঠোর আইনে ব্যবস্থা নিলে গরু ডাকাতি অনেকটা বন্ধ হবে বলে খামারিরা আশাবাদী। এ ব্যাপারে খামারিরা পুলিশের উর্ধ্বত্বন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. রাসেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক কপিল উদ্দীন, প্রচার সম্পাদক- শফিউল আলম, মহিলা সম্পাদিকা ফারহানা ইয়াছমিন, সদস্য- হাসিনা আকতার, মো. হারুন, মো. শফিক, আলী আকবর, নাজমুল হক, আবদুল মন্নান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ