Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগড়ে দেশের প্রথম শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণ

রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা, রামগড় (খাগড়াছড়ি) থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

১৯৬৮ সালে রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পার্বত্যাঞ্চলে সর্বপ্রথম শহীদ মিনারের মূলস্তম্ভ র্নিমিত হয়েছিল। তৎকালীন রামগড় মহকুমার অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট মং-ম্রাইহ্লাপ্রু চৌধুরীর সহায়তায় এই মিনারটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে পরর্বতীতে মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা শহীদদের স্বরণে ১৯৭২ সালে শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের হেডকোয়াটার তৎকালীন ১৯২০ সালের প্রাচীন মহকুমা শহর রামগড় শত্রুমুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে এখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পুকুরপাড়ে পুনর্নির্মাণ করা হয় পার্বত্য জেলার সর্বপ্রথম শহীদ মিনারটি। শহীদ মিনারটির ডিজাইন সংগ্রহ করেন রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন বিএসসি শিক্ষক এম আর খান। নির্মাণ কাজের মিস্ত্রি ছিলেন মরহুম আবদুর রউফ। স্থানীয় বিক্তশালীদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করে এ নির্মাণকাজ চালানোর বিষয়ে ভূমিকা রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মরহুম সুলতান আহমদ, মরহুম মুলকুতুর রহমান, মৃত সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরা, দুলাল চন্দ্র দে, কালাচাঁন দেবর্বমন, সমর চক্রবর্তীসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে প্রশাসনের উদ্যোগে রামগড়ে নতুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের পর এটি শুধুমাত্র রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ভাষা শহীদদের স্মরণে কোনো প্রকার শ্রদ্ধা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্মৃতি মুছে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে রামগড়ের সাবেক ইউএনও ইকবাল হোসেনের সহযোগিতায় শহীদ মিনারটি সংস্কার করা হয়।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান খাজা নাজিম উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন বলেন, শহীদ মিনারটি যে অসমাপ্ত কাজ রয়েছে সেগুলো বর্তমান উপজেলা পরিষদ-উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের মাধ্যমে সম্পন্ন করার জোর দাবি জানান।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা শহীদদের স্মরণে পার্বত্যাঞ্চল রামগড়ে প্রথম শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ ব্যাপারে অবগত হয়েছি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ করে পরর্বতীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ