শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে একটি কলেজের প্রভাষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাহবুব তালুকদার সরকারি শামসুর রহমান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হুসাইন রাতে ওই কারাদণ্ড দেন।

ওই প্রভাষকের নাম শারমিন রহমান। তিনি গোসাইরহাট আলহাজ সফুরা বেগম মহিলা কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তিনি বলেন, ‘শনিবার আলহাজ সফুরা বেগম মহিলা কলেজের ১০১ নম্বর কক্ষে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ব্যষ্টিক অর্থনীতি ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পরীক্ষা চলছিল। আমি পরীক্ষার খাতায় স্বাক্ষর করছিলাম। এমন সময় ছাত্রলীগের নেতা মাহবুব তালুকদার বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করার সময় বাধা দিলে আমাকে প্রথমে ধাক্কা মারেন। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং চড়-থাপ্পড় মারেন।’

আলহাজ সফুরা বেগম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন শাহ জানান, ‘আমি বিষয়টি জানার পরে ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষকের সাথে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

সরকারি শামসুর রহমান কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ শামসুর রহমান জানান, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি, আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেওয়ান আজমল হোসেন নয়ন জানান, ‘কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। এ ব্যাপারে কলেজ কর্র্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

ইউএনও মো. আলমগীর হুসাইন জানান, ‘অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাহবুব তালুকদারকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষায় বাধাদানের অভিযোগে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’