Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

তালতলীতে পরকীয়ায় গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বরগুনার তালতলীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন এক গৃহবধূ। গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ঐ নারী।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ৭০ বছরের এক বৃদ্ধর প্রথম স্ত্রী মারা গেলে সন্তানরা তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করান। তাদের দ্বিতীয় সংসারে চারটি ছেলে সন্তান হয়। এরপরে কয়েক বছর আগে ঐ বৃদ্ধ প্যারালাইসিস হয়ে অসুস্থ হলে সংসারের হাল ধরেন ঐ গৃহবধূ। ফকিরহাট মাছ বাজারে কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। এর মধ্যে গত বছর পৌষ মাসে ঐ গৃহবধূর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন স্থানীয় মাছ বাজারের শ্রমিক কদম মুন্সির ছেলে মোজাম্মেল মুন্সি। এর মধ্যে ঐ গৃহবধূর শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি নজরে পরে প্রথম স্ত্রীর মেয়ের। বিষয়টি তিনি জিজ্ঞেস করলে তখন মোজাম্মেল মুন্সির সাথে তার পরকীয়ার কথা জানতে পারেন এবং এও জানতে পারেন তিনি সন্তান সম্ভবা। এ বিষয় আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা টাকা পয়সা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানা গেছে।
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জানান- স্বামী বার্ধক্যজনিত কারনে বিছানায় প্রায় দু’বছর, এ জন্য তিনি স্বামী সন্তানের জন্য ফকিরহাট মাছ বাজারে কাজ করে সংসার চালাতেন। অভাবের এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় মাছ বাজারের শ্রমিক কদম মুন্সির ছেলে মোজাম্মেল মুন্সি (৩০) তার শারীরিক সম্পর্কের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ঐ গৃহবধূ। মোজাম্মেলকে বিয়ের কথা বলার পর কর্ণপাত করেননি। এর মাঝে সময় পেরিয়ে গেছে প্রায় পাঁচমাস। অবশেষে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি।
গৃহবধূর স্বামী (৮০) জানান, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সন্তানরা আমাকে দেখাশুনার জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করায়। কয়েক বছর আগে আমি অসুস্থ হলে, দ্বিতীয় স্ত্রী ফকিরহাট মাছ বাজারে কাজ করে চার সন্তানসহ আমাদের খাওয়াতো। এখন এ রকম ন্যাক্কারজনক কাজ করায় আমার স্ত্রী কাজে যেতে পারছেনা, আমরা এখন না খেয়ে মরার অবস্থা। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ছালাম হাওলাদার বলেন, এছিন মল্লিকের পরিবার ঐ মহিলার আয়ের উপর নির্ভরশীল। এই ঘটনার পর তাদের রুটিরুজি বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযুক্ত মোজাম্মেলের মুঠোফোনে কল দিয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তালতলী থানার ওসি মো. সাখাওত হোসেন তপু জানান, এ বিষয় আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ