Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওসমানীনগরে তড়কা রোগের হানা

৫ গরুর মৃত্যু : বাড়ছে সংক্রমণ

আবুল কালাম আজাদ, বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় গরুর ওপর তড়কা রোগে হানা। তর্কা রোগে একাধিক গরুর মালিকের গরুর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। চিন্তিত হয়ে পড়েছেন উপজেলার গরুর মালিকরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে ‘ভ্যাকসিন ফোরাম’র আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। এ সংবাদ পাওয়া লেখা পর্যন্ত ৫টি গরুর মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পুরকায়স্তপাড়া গ্রামের মিন্টুর পালের ২টা গাভী তড়কা রোগে মারা যায়। যার বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, কঠালপুর গ্রামে ১টি গরু ও উসমানপুরের আব্দুস শহীদের ২টি গরুর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। গরুর মালিকরা জানিয়েছেন, গরুর রোগ পরিচয় করার পূর্বে হঠাৎ মারা যাচ্ছে। স্থানীয় পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এ রোগের আলামত গরু মারা যাওয়ার পর ধরা পড়ে। এর আগে চিনার উপায় নাই। তবে সচেতন মহল জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে এখনই সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না নেয়া হলে তর্কা রোগে গোটা উপজেলায় গরু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পশু চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা যায়, তড়কা গবাদিপশুর একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রামক রোগ। গবাদিপশু থেকে এ রোগে মানুষেও ছাড়ায়। এ রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত খাদ্য তথা ঘাস খেয়ে গবাদিপশু অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগে কতটি গরু মারা গেছে -এ পরিসংখ্যান উপজেলা পশু হাসপাতালে নেই।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ রোগে দেহের লোম খাড়া হয়। দেহের তাপমাত্রা ১০৬-১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বিরাজ করে। নাক, মুখ ও মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। পাতলা ও কালো পায়খানা হয়। লক্ষণ প্রকাশের ১-৩ দিনের মধ্যে পশু ঢলে পড়ে মারা যায়। তবে আক্রান্ত গরু মারা যাওয়ার পর তার লক্ষণ স্পষ্ট দেখা দেয়।
চিকিৎসার পাশাপাশি সুস্থ পশুকে আক্রান্ত পশু থেকে সর্বদা পৃথক রাখাসহ মৃতপশুর মল, রক্ত ও মৃতদেহ মাটির নিচে পুঁতে ফেলারও পরামর্শ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পুরকায়স্তপাড়া গ্রামের মিন্টু পাল বলেন, সম্পূর্ণ সুস্থ গরু হঠাৎ পড়ে যাচ্ছে। পেট ফুলে উঠছে। নাক দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছে। ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে না হতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। আমার দুইটি গাভী গরু মারা গেছে। এ রোগ এখন বাড়ছে। আমরা আতংকে আছি।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের বি এফ এ কামরুল ইসলাম তড়কা রোগে গরু মারা যাওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা আক্রান্ত এলাকায় মাঠ কর্মীদের দিয়ে ভ্যাকসিন ফোরামের ব্যবস্থা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ