বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাঝ রাতে কান্না না থামায় বালিশ চাপা দিয়ে ২ মাস ১১ দিন বয়সী জমজ দুই কন্যা সন্তান মনি ও মুক্তাকে হত্যা করেন মা কানিজ ফাতেমা কনা। হত্যার পর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য বাড়ির পাশের পুকুরে লাশ দুটি ফেলে দিয়ে ঘরের দরজা খুলে ঘুমান তিনি। ভোর রাতে ডাকাতির ঘটনা বলে প্রচারের চেষ্টা চালান। কিন্তু পুলিশের জেরায় সত্য স্বীকার করতে বাধ্য হন। বৃহষ্পতিবার মধ্যরাতে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার সকালে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে। শনিবার বিকালে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন ঘাতক মা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তেরখাদা থানার এসআই মো: এনামুল হক জানান, চার বছর আগে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের খোরশেদের মেয়ে কানিজ ফাতেমা কনার সাথে বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার মাতারচর গ্রামের মোল্লা আবু বক্কারের ছেলে মাসুম বিল্লাহর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছরের মাথায় কানিজ ফাতেমা অন্তসত্তা হন। এরপর কনাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২ মাস ১১ দিন বয়সী জমজ শিশু মনি ও মুক্তা খুব কান্নাকাটি করত। এ বিষয়ে কনা স্বামীর সাথে যোগাযোগ করেন। স্বামীর বাড়ি থেকে তাকে আগামী মাসে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়।। বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে জমজ শিশু দুটি খুব কান্নাকাটি করছিল। প্রথমে কনা তাদের দুধ খাওয়ান। এরপরও তারা থামছিল না। রাত আড়াইটার দিকে বাচ্চা দু’টিকে চড় মারেন কনা। পরবর্তীতে বালিশ চাপা দিয়ে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না কনা। তাই নাটক সাজানোর জন্য বাচ্চা দু’টিকে পুকুরে ফেলে দেন। জমজ শিশুদের পুকুরে ফেলে দেওয়ার পর ঘরের দরজা খুলে ঘুমান কনা, যেন বিষয়টি কেউ আঁচ করতে না পারে। এর দু’ঘন্টা পর অর্থাৎ ভোর রাত সাড়ে চারটার দিকে ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করেন তিনি। পাড়ার লোকজন তাদের বাড়িতে জড়ো হয়। এরপর সবাই জমজ শিশুদের খোঁজ নিতে থাকেন। ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে নানী শরিফা খাতুন ও মামা নুর আলম।
এ ঘটনার পর ওই পরিবারের প্রতিটি সদস্যর ওপর নজর রাখে পুলিশ। পরবর্তীতে শুক্রবার বিকেলে কনা, তার বাবা ও মাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কনা অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। জেরার এক পর্যায়ে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। জমজ শিশু হত্যার দায়ে রাতে বাবা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ১০।
শনিবার বিকালে আদালতে হত্যার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে কানিজ ফাতেমা কনা। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি বাচ্চা দুটির কান্নাকাটি এবং স্বামীর দুর্ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন বলে জানান তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহুরুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।