Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরেক দফা বাড়ল সবজি-গরু-মুরগির দাম

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৩৯ এএম

লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিতপণ্যের দাম। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে আবারও বেড়েছে সবজি, গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজের দাম। বিপরীতে কমেছে মাঝারি আকারের চাল, রসুন ও হলুদের দাম।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ২৫০-২৮০ টাকা। দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। প্রতিকেজি গরুর মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, বড় চিংড়ি ১১০০ থেকে ১২০০, রুই ৩৫০ থেকে ৪০০, কাতল ৩০০ থেকে ৩৫০, কোরাল ৬০০, নলা ২৬০, কালবাউশ ৪০০ টাকা এবং ট্যাংরা ৫০০ টাকা, বড় আকারের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি, চাষের কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। এছাড়া বাজারে আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
দাম বেড়েছে সবজির। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বড় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, ছোট ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, করোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। গাজর কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। টমেটো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে। লালশাকের আটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, চিনি ও ডিমের। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দাম বেড়েছে মোটা চালের। প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকা, দাম কমেছে মাঝারি মানের চালের। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৬ টাকা। দাম বেড়ে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬০ টাকা কেজি।

দাম বেড়েছে তেলের। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ১৪৬ থেকে ১৫৩ টাকা, বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৮ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি ছিল ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা, খোলা পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়, পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা লিটার। গত সপ্তাহে ছিল ১৩৮ থেকে ১৪২ টাকা লিটার।
আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মশুর ডাল। ছোট দানার মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, বড় দানার মশুর ডাল ৯৫-১০০ টাকা। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা, অ্যাংকর ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, ছোলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ