Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল এলাকায় আখ মাড়াই করছে অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:২৩ পিএম | আপডেট : ১২:০৪ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আখের অভাবে নাটোরের লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল বন্ধের ১৭দিন পরেও মিল এলাকায় অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার দিয়ে আখ মাড়াই চলছে। মিল এলাকায় কৃষকদের মাঠে এখনো প্রায় ১০ হাজার মে.টন আখ দন্ডায়মান রয়েছে। অথচ আখের অভাবে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাত্র ৬৭ কার্যদিবসে ৫ হাজার ৬শ মে.টন চিনি উৎপাদন করে গত ১ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয়ে গেছে লালপুর উপজেলার গোপালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল। ২০২১-২২ আখমাড়াই মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চিনিও উৎপাদন করতে পারেনি চিনিকলটি। চিনিকলে পর্যাপ্ত আখ না পাওয়ার কারণ হিসেবে চিনিকল এলাকায় অবৈধভাবে চালিত পাওয়ার ক্রাশারকে (যন্ত্রচালিত আখ মাড়াই কল) দায়ি করছে চিনিকল সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি চিনিকল এলাকায় অবৈধভাবে চালিত পাওয়ার ক্রাশার প্রায় ৯০ হাজার মে.টন আখ মাড়াই করেছে।

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ আখ মাড়াই মৌসুমে ১ লাখ ৭০ হাজার মে.টন আখ মাড়াই করে ১৩ হাজার ৬শ মে.টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২৬ নভেম্বর আখ মাড়াই শুরু হয়। মাত্র ১ লাখ ২ হাজার ২শ ২২ মে.টন আখ মাড়াই করে ১ ফেব্রুয়ারি চিনিকলটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে চিনি উৎপাদন হয়েছে ৫ হাজার ৬শ মে.টন। মিল চালুর প্রায় ২মাস আগে থেকে অবৈধভাবে চালিত প্রায় সাড়ে ৩শ পাওয়ার ক্রাশার এপর্যন্ত আখ মাড়াই করেছে প্রায় ৯০ হাজার মে.টন। ফলে চিনিকলটি কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ আখ ক্রয় করতে পারেনি। এছাড়া মাঠে আখচাষীদের প্রায় ১০ হাজার মে.টন আখ এখনো দন্ডায়মান রয়েছে।

এদিকে মিল এলাকার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে কৃষকদের আখ মাঠে থাকার সত্যতা মিলেছে। কৃষকদের অধিকাংশই তাদের মাঠে দন্ডায়মান আখ টাকার অভাবে আগেই পাওয়ার ক্রাশার মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।

উত্তরবঙ্গ চিনিকল আখচাষী সমিতির সভাপতি আনছারআলী দুলাল বলেন,‘নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে আখের মূল্য প্রতি মন ১শ ৪০ টাকা অথচ পাওয়ার ক্রাশার মালিকরা আখ কিনছে ২শ টাকা মন দরে ফলে অধিক লাভের আশায় চাষীরা পাওয়ার ক্রাশার মালিকদের কাছে আখ বিক্রি করেছেন। এছাড়া গত আখ উৎপাদন মৌসুমে চিনিকল কর্তৃপক্ষ আখ উৎপাদনে চাষীদেরকে পর্যাপ্ত সার, কীট নাশক দিয়ে সহযোগীতা করেনি। মিলে আখ সরবরাহের ব্যাপারে আখচাষীদের দায়বদ্ধতা ছিল কম।’

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘গুড় তৈরী ছাড়াও আখ কাটার শ্রমিক সংকটের অজুহাতে কৃষকরা তাদের আখ মিলে সরবরাহ করেননি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ