Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

অন্তিম যাত্রায়ও বাপ্পি লাহিড়ীর চোখে সেই কালো চশমা!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:৪৭ পিএম | আপডেট : ৪:৪৯ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। তার মৃত্যুতে সুরের দুনিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী মুম্বাইয়ে ফেরার পরই অন্তিম যাত্রার পথে রওনা হন এই কিংবদন্তি।

বাপ্পি লাহিড়ী ‘গোল্ড লাভার’ ছিলেন। তার সংগ্রহে ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সোনা। বরাবরই তার শরীরে গয়না দেখে কেউ মুগ্ধ হয়েছেন, কেউ মেতেছেন রসিকতায়। অন্তিম যাত্রায় তার গায়ে সোনা ওঠেনি বটে, কিন্তু কালো চশমায় চোখ ঢাকা হয়েছে এই কিংবদন্তির। জীবনের শেষ বেলা পর্যন্ত সেই কালো চশমা তার সঙ্গী ছিল।

বাপ্পি লাহিড়ীর অন্তিম যাত্রার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাপ্পাসহ আরও কয়েকজন প্রয়াত কিংবদন্তিকে লাশবাহী গাড়িতে তুলছেন। দেহ সাজানো হয়েছে ফুলের মালায়। রাজকীয় শেষ যাত্রায় তার চোখে পরানো হয়েছে কালো চশমা। লাশবাহী গাড়িকেও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। গাড়ির মাথায় রয়েছে বাপ্পির হাসিমুখের এক ছবি।

বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী বাড়ি ফেরার আগেই শেষকৃত্যের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। বাপ্পা ফেরার পর বাবার অন্তিম দর্শন সারেন। তারপরই বাপ্পি লাহিড়ীর দেহ বাড়ি থেকে বের করে শেষকৃত্যের উদ্দেশে ভিলে পার্লের পবনহংস শ্মশানের পথে রওনা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে রিমা লাহিড়ী। মরদেহের পিছনে চিৎকার করে ছুটতে দেখা যায় শোক বিহ্বল কন্যাকে। অন্তিমযাত্রায় পা মিলিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ীর বন্ধু-অনুরাগীরা।

দীর্ঘদিন ধরে নানারকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। এক মাস ভর্তি থাকার পর সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। কিন্তু মঙ্গলবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসকের পরামর্শে। হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার দীপক নামজোসি জানিয়েছেন, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।

১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি। তারপর দীর্ঘদিন বাংলা ও হিন্দি ছবির গান গেয়েছেন, সুর দিয়েছেন। প্রচুর সোনার গয়না পরতে ভালোবাসতেন। ছিল গায়কির নিজস্ব কায়দা, যা তাকে হিন্দি ছবির জগতে অনন্য পরিচিতি দিয়েছিল।

১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপ্পি লাহিড়ী। হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালোবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান।

সূত্র- জি নিউজ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ