দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাঁচ জেলায় ৩১৮ অবৈধ ইটভাটা
হাইকোর্টে পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য
স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম
রাজধানীসহ দেশের ৫ জেলায় ৩১৮টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত ৯৫টি অবৈধ ইটভাটা ইতিমধ্যে বন্ধ করেছে। হাইকোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে এ তথ্য দাখিল করা হয়। পরে আদালত অবৈধ ইটভাটার তালিকা নথি আকারে দাখিল করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে তথ্য উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ।
তিনি আদালতকে জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা ছাড়াও গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জে ইতোমধ্যে ৯৫টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে। এসব জেলায় ৩১৮টি অবৈধ ইটভাটা ছিলো।
‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি) এর রিটের ধারাবাহিকতায় এ প্রতিবেদন দেয়া হয়। পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকায় অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ১১২টি। মানিকগঞ্জে ১১টি, মুন্সিগঞ্জে ২৬টি, গাজীপুরে ৪৬টি এবং নারায়ণগঞ্জে ১২৩টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকায় ২৭টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে ১২৮টি চালু রয়েছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আদালতকে জানান, তার জেলায় এখন ৪৬টি অবৈধ ইটভাটা চালু আছে। আদালত তখন নথি আকারে তালিকা দাখিল করতে বলেন। সেই সঙ্গে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি রিটের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে একাধিকবার নির্দেশনা দেয়ার পরও সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো নিষ্ক্রিয় থাকায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আদালত উষ্মা প্রকাশ করেন। পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পাঁচ জেলা প্রকাশককে পরবর্তী শুনানিতে উপস্থিত থাকতে ওইদিন আদালত নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালককে জরুরি ভিত্তিতে গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ ও টঙ্গীসহ রাজধানী ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলোতে পানি ছিটানোর উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
আদালত তখন বলেছিলেন, কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া, বাকি সময় এটি হবে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান দায়িত্ব। সিটি করপোরেশনকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। একই সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে রাজধানীর ভেতরে রাস্তায় ও সড়ক বিভাজনে পানি ছিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
