বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা মহানগরীর বাগমারা এলাকায় তিনতলা বিশিষ্ট একটি ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেন সংস্কার কাজের জন্য খোঁড়াখুড়ি করার কারণে পুরাতন এই ভবনের সড়ক লাগোয়া অংশে ফাটল সৃষ্টি হয়। এছাড়া ভবনটি সামান্য হেলে পড়ায় বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতেই ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়। একইসঙ্গে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও খুলনা সিটি করপোরেশনের লোকজন সতর্ক অবস্থানে থেকে ভবনের ফাটল অংশে বালুর বস্তা ফেলার কাজ তদারকি করছেন। নগরীর বাগমারা মেইন রোড এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটির মালিক মৃত মহিউদ্দিন আহমেদ। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী-সন্তানরা এখানে বসবাস করেন। তৃতীয় তলার এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাড়ি মালিকের পরিবার এবং নিচতলা ও তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া মিলিয়ে মোট ১১টি পরিবার বসবাস করতো।
ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক বাবুল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মহানগরীর বাগমারা এলাকায় ৫২ নং ভবনটি ডানদিকে সামান্য হেলে পড়েছে। এছাড়া পাশের আরো দু’টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে ভবনে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে, তারা ওই ভবন থেকে কোনো মালামাল বের করতে পারেননি। এছাড়া ঝুঁকি এড়াতে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এখন তারা ওই সড়কের দু’পাশ আটকে সেখান থেকে সাধারণ লোকজনের চলাচল এবং ওই ভবনে প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছেন। ভবনে ফাটল ধরার কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন, পাশে ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ চলছিল। সেখানের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। এ কারণেই ভবন হেলে পড়েছে। এছাড়া ভবনটি সামান্য হেলে পড়ায় বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে।
ভবন মালিকের জামাই তৌফিকুর রহমান জানান, ড্রেন সংস্কারের জন্য ১৫ থেকে ১৬ দিন ধরে মাটি ও ইট তোলায় বাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তবে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ভবনের নিচের অংশে কিছুটা ধ্বসে পড়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ভবনের পাশে ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ চলছিল। এ কারণেই বিল্ডিং হেলে পড়েছে। ভবনের বাসিন্দারা সবাই নিরাপদে সরে গেছেন। ভবনটি পাকিস্তান আমলে তৈরি। যার বয়স পঞ্চাশের ওপরে। তবে ভবনটি প্রায় ২৫ বছর আগে পাকিস্তানি মালিকের কাছ থেকে তার শ্বশুর কিনেছিলেন। এখানে তাদের পরিবার-পরিজনসহ ১১টি পরিবার বসবাস করেন।
কেসিসির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাজেদা বেগম জানান, ভবন ফাটল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। বিষয়টি সিটি মেয়রকে জানানো হয়েছে। এখন বালুর বস্তা ফেলে ড্রেনের মাটি খোঁড়ার অংশ ভরাট করা হচ্ছে। দ্রæত সেখানে ঢালাই দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ড্রেনের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সতর্কমূলক কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যে কারণে এর আগেও নগরীর টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডসহ কয়েকটি স্থানে ফাটল ধরে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।