Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যা মামলায় রুপান্তরের অভিযোগ

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:২৭ পিএম

সুবর্ণচর উপজেলার থানারহাট এলাকায় রাবিয়া খাতুন (১১৫) এর স্বাভাবিক মৃত্যুকে সম্পত্তির লোভে হত্যা মামলায় রুপান্তরের অভিযোগ উঠেছে বৃদ্ধার ছোট ছেলের বিরুদ্ধে।

বুধবার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে বিষয়টি জানা যায়।

এলাকাবাসী ও প্রতিবেশী থেকে জানা যায়, রাবিয়া খাতুন (১১৫) চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ড থানারহাটের মৃত নুর মোহাম্মদ এর স্ত্রী। বাজার সংলগ্ন বাসায় মৃত রাবিয়া ২০ বছর যাবত শারিরীক অসুস্থতাজনিত কারণে ছেলেমেয়েদের কাছে থাকতো। গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে বড় মেয়ে জহুরা বেগম (৭৫) এর বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মারা যাওয়ার পর ওদের কান্নাকাটির শব্দে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী ছুটে আসেন। কিন্তু বৃদ্ধার ছেলে আবুল কালাম ওরফে মাইক কালাম অপর ৫ ভাইবোন আবদুল জলিল (৬৫),জহুরা বেগম (৭৫),নুরজাহান বেগম (৭০), মানসিক প্রতিবন্ধী ইউসুফ (৬৭) ও আবদুল হাই (৭৮) কে ওয়ারিশসূত্রে মালিকীয় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে তাদের বিরুদ্ধে আপন মাকে হত্যার অভিযোগ তোলে ৯৯৯ এ কল দেন। পরে চর জব্বার থানা থেকে এস আই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ফোর্স এসে লাশ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে নিয়ে যান।

বৃদ্ধার বড় মেয়ে জহুরা বেগম ও ছেলে আবদুল জলিল জানান,আমাদের মা প্রায় ২০/২৫ বছর যাবত অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। উনার শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে, গতকাল মঙ্গলবার অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। অথচ আমার ছোট ভাই কালাম ওরফে মাইক কালাম আমাদেরকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে এসব মিথ্যা ও হয়রানীমূলক করছে। এমনকি সে অত্র এলাকার লোকজনের কাছে একজন চিহ্নিত দালাল ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। সে এক জমি একাধিকবার বিক্রি করে ক্রেতাদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। বর্তমানে প্রায় ৫০টিরও বেশি মামলা পরিচালনা করছে,এলাকাবাসী ও আমাদের বিরুদ্ধে। কালাম, এলাকার কোনো জনপ্রতিনিধি বা মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গের বিচার মানে না। কথায় কথায় মামলার ভয় দেখায় নিরীহ আতœীয় স্বজনকে।

অভিযুক্ত আবুল কালাম ওরফে মাইক কালাম প্রতিবেদককে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্যেশ্য প্রনোদিত ছাড়া কিছুই নয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন,আমি অভিযোগকারী কালামকে বারবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি মামলা হামলা না করার জন্য কিন্তু সে আমার কথায় কর্ণপাত করে নাই।

চর জব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক তরিক খন্দকার বলেন, বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়ে শুনেছি। পরিবারের ১ সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার প্রক্রিয়া চলমান।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ