পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। কিন্তু বিএনপিই দুমড়ে-মুচড়ে এই ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। গতকাল সিলেট নগরীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ‘ক্যাথল্যাব’ উদ্বোধনকালে মন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময়ই পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং আসার চেষ্টা করছে। তারা এই ব্যবস্থা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) কুক্ষিগত করতে চেয়েছিল। পরতে পরতে বেআইনি কাজ করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা এখন গণতন্ত্র শেখাতে চায়। তাদের মুখে এমন কথা দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই নির্বাচন কমিশন নেই। খোদ আমেরিকায় কোনো নির্বাচন কমিশন নেই। যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারাই নির্বাচন করে। আমরা এ দেশে নির্বাচন কমিশন করি যাতে স্বচ্ছ নির্বাচন হয়। কারণ আমরা সবসময় গণতন্ত্র ও স্বচ্ছ নির্বাচনে বিশ্বাসী। নির্বাচন করতে চাইলে নির্বাচনের পথে আসতে হবে, জনতার কাছে আসতে হবে। জনতাই ভোটের মালিক, দেশের মালিক। স্বচ্ছ ইলেকশন কমিশন হবে, সেই কমিশনের মাধ্যমে যে নির্বাচন হবে, সেটা অবশ্যই স্বচ্ছ হবে।
ড. মোমেন বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন ‘ইয়েস’ ‘নট’ ভোট দিলেন। ভোট গ্রহণের দায়িত্বপালনকারীদের বলে দিলেন যাতে সবাই ‘ইয়েস’ ভোট দেয়। এতে ৯৮ শতাংশ ভোট পড়ে ‘ইয়েস’-এ। এ নিয়ে সমালোচনা ও হাসাহাসি শুরু হলে পরে তা কমিয়ে ৮৮ শতাংশ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এই দল ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন পেয়েছিল। পৃথিবীতে খুব কম দেশ আছে যারা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছে। আমাদের ৩০ লাখ মানুষ রক্ত ও প্রাণ দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়েও এ দেশে গণতন্ত্রকে পরিপক্ষতা দিতে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক কারণে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত সাতটি রাজ্যে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবা প্রদানের অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি সিলেটের মানুষকে যাতে দেশের অন্য স্থানে বা দেশের বাইরে যেতে না হয় সেরকম মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তিনি সিলেটে স্বাস্থ্যখাতে আরও বেশি বেশি বিনিয়োগ করার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।