Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গাইডওয়াল ও সংযোগ সড়কে ধস

ধামরাইয়ে গাজীখালী নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল

মো. আনিস উর রহমান স্বপন, ধামরাই (ঢাকা) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

ঢাকার ধামরাইয়ে বাথুলী এলাকায় নির্মাণের অর্ধযুগ পার হওয়ার আগেই গাজীখালী নদীর ওপর সেতুর সংযোগ গাইডওয়াল ও সংযোগ সড়কে ধস নেমেছে। শুধুকি তাই সেতুর একপাশ দেবেও গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তদারকির অভাব ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের কাজের ফলে এমন অবস্থা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার এবং স্থানীয়দের উদ্যোগে ধসে পড়া সংযোগ সড়কের স্থানে ইটের সুড়কি দিয়ে সরু সড়ক তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই সেতুর ওপর দিয়েই এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছেন।
জানা য়ায়, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার বাথুলী এলালায় মাদরাসা, কবরস্থান স্কুল-কলেজ এবং হাট-বাজারে যাতায়াতের জন্য গাজীখালী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ২০১৩ সালের শেষ দিকে। পরের বছর নির্মাণ কাজে ফিনিশিং না করেই দায়সারাভাবে সেতুটির মূল কাজ শেষ করে। এরপর সেতুর দু’পাশে গাইডওয়াল নির্মাণের পর সেতুর নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়। গত দু’বছর আগে বন্যার পানির স্রোতে সেতুটির উভয় পাশের সংযোগ সড়কটি ধসে যায়। শুধু তাই নয় একপাশের সেতুসহ গাইড ওয়ালও দেবে য়ায়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার এলাকার লোকজনের সহযোগীতায় ধসে যাওয়া স্থানে বর্তমানে ইটের খোয়া ফেলে সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক তৈরি করলেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকার মানুষ।
এলাকার জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকেই জানিয়েছেন, যে কোনো সময় গাইডওয়ালটি পড়ে গিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েও চিন্তায় থাকতে হয়।
সূতিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা বলেন, দুই বছর আগের বন্যায় পানির স্রোতের কারণে সেতুর সংযোগ সড়কটি ধসে য়ায়। এলাকার জনসাধারণের চলাচলের জন্য আপাতত ইটের সুরকি ও আধলা ফেলে সংযোগ সড়কটি মেরামত করেছি। সেতু ভেঙে পুনঃনির্মাণ না করলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, সেতুটি আমার দপ্তরের নয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান বলেন, আমি যোগদান করার অনেক আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। শুনেছি সেতুটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা নেয়ার জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ