রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে প্রতিনিয়তই গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যায় বরগুনার উপকূলীয় জেলেরা। আবহাওয়া অফিস না থাকায় কোন পূর্বাভাস ছাড়াই ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যেতে হয়। সংকেতহীন সমুদ্রযাত্রায় আবহাওয়ার অবনতিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে হয় তাদের। ঘটে ট্রলার ডুবি। প্রাণহানির মতো ঘটনা। চরসিগন্যাল ও দিকনিদর্শন লাইট না থাকায় কুলে ফিরতে ও সমুদ্রে যেতে পড়তে হয় নানা বিরম্বনায়। কোটি টাকার মূল্যের মাছ ধরা ট্রলার সমুদ্র পাঠালেও ট্রলার ও জেলেদের আজ পর্যন্ত আনা হয়নি বীমার আওতায়।
বাংলাদেশের বৃহৎ একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি বরগুনার পাথরঘাটায় হওয়াতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের ট্রলার মাছ শিকারে এখান থেকে সমুদ্রে পাঠায়। এই এলাকায় কোন আবহাওয়া অফিস না থাকায় কোন পূর্বাভাস ছাড়াই শত শত ট্রলার গভীর সমুদ্রে যায় জীবিকার তাগিদে মাছ শিকারে। সংকেতহীন এমন সমুদ্রযাত্রায় বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পরেন তারা। প্রতিবছর ট্রলার ডুবি, প্রাণহানি, নিখোঁজের মতো ঘটনা ঘটেই চলছে। দেশের সর্ব দক্ষিণের সাগর উপকূলীয় জেলা দুর্যোগে বারবার বিপর্যস্ত এই জনপদ। বরগুনা ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি আবহাওয়া অফিস। উত্তাল সমুদ্রের সাথে যুদ্ধ করা জেলেদের দাবি আবহাওয়া অফিস থাকলে সঠিক সময় নির্ধারণ করে সমুদ্রে যেতে পারতেন তারা। অনেকটা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারতেন। বিষখালী ও বলেশ্বর নদী যেখানে সমুদ্রে মিলেছে সেই নদী মোহনা এলাকায় অসংখ্যচর পরেছে। চর সিগন্যাল লাইট না থাকায় চর নির্ধারণ করে সমুদ্রের যেতে আসতে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয় জেলেদের। এছাড়াও বৈরি আবহাওয়ায় রাতের আঁধারে সমুদ্র থেকে কূল নির্ধারণ করে ফিরতে পড়তে হয় অনেক বিপাকে। চর সিগন্যাল ও কূল নিদর্শন লাইটের দাবি সমুদ্রগামী জেলেদের।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির তথ্যমতে বিভিন্ন সময় ঝড়ের কবলে ট্রলার ডুবে ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের অধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন মৎস্যজীবীদের আবহাওয়া অফিস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি গত ৫ বছরেও। দীর্ঘদিন ধরে আবহাওয়া অফিস ও সিগন্যাল লাইট-এর দাবি করে আসছেন মৎস্যজীবী জেলেরা।
বাংলাদেশ ফিশিং বোট মালিক ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, এ অঞ্চলের জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৎস্য আহরণ করে থাকে। কোটি টাকার মূল্যের এক একটি ট্রলার ২০ থেকে ২৫ জন জেলে নিয়ে কূলহীন গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যায়। কোটি টাকার সম্পদ সমুদ্রে পাঠালেও আজ পর্যন্ত ট্রলারগুলোকে আনা হয়নি বীমার আওতায়।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, বরগুনা ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি আবহাওয়া অফিস। বরগুনাতে আবহাওয়া অফিস থাকলে সঠিক সময় নির্ধারণ করে সমুদ্রে যেতে পারতেন জেলেরা। অনেকটা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারতাম আমরা।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত মৎস্যজীবী জেলেরা যাতে নির্বিঘ্নে মৎস্য আহরণ করতে পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকারের তরফ থেকে করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।