Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন দ্রুত চালু হচ্ছে : নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

রামগড় (খাগড়াছড়ি) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন দ্রুত চালর বিষয়ে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, আলোচনা ফলপ্রসু হলে শুরুতে রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন চালু হবে বলেও জানান তিনি। গত সোমবার রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সঙ্গে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে অধিগ্রহণ করা ভূমি, নির্মাণাধীন অবকাঠামো ও মৈত্রীসেতু পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান।
খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শুধু ব্যবসা বাণিজ্য নয় ভারতের সাথে আমাদের আন্তরিকতার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ত্রিপুরার মানুষ অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পাশে ছিলো। রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ব্যবসা-বানিজ্যের উন্নয়নসহ দুই দেশের পারস্পরিক বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে। সাংস্কৃতির অঙ্গনে বিকাশ ঘটবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আলমগীর জানান, রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে পুরো চট্টগ্রামের দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। বন্দরকে কেন্দ্র করে সড়ক সংস্কার হতে শুরু করে একাধিক বড় প্রকল্পের সেতু নির্মাণ হচ্ছে। রামগড়ের এ বন্দরে স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রার মান অভাবনীয় পরিবর্তন হবে।
গত সোমবার দুপুর ১২টায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রামগড় পৌঁছালে রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল ও বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের স্বাগত জানায়। পরে তারা বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থানের জমি অধিগ্রহণ ও বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রকল্প-১ প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সরোয়ার আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, রামগড় ৪৩ বিজিবি›র জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল আনোয়ারুল মাযহার, প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সরোয়ার আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. ইখতেয়ার উদ্দীন আরাফাত, রামগড় মেয়র রফিকুল আলম কামাল, রামগড় আ.লীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন ও রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুজ্জামন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রামগড়ে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড়ের মহামনি সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ গত বছরের ৯ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন। ভারতের অর্থায়নে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে এবছরের ১০ জানুয়ারি ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্ধারণ করা হয়। বন্দর এলাকার জন্যে প্রথমে ১০ একর পরে আরো ১৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহনকৃত ভূমিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৪ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেডকে দায়িত্ব দেয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ