পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার গায়েব হওয়া নথি দ্রুত খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রিটের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন রাসেল। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং নথি গায়েবের বিষয়ে তদন্ত চেয়ে রিট করা হয়। রিটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্রুনাল-২, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়।
রিটে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিষয়ে ২৩ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। ‘খুনের মামলা গুম’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।
বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর ওই সময়কার ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর বিচারিক আদালতে পৌঁছায়নি। সেই মামলার নথিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত ১৯৮৪ সালের ‘নতুন মুখের সন্ধান’র মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে ঢাকার প্রতিভাবান তরুণ সোহেল চৌধুরীর। ১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরীর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ওই বছরেই নির্মাতা এফ কবির চৌধুরী পরিচালিত পর্বত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। তিনি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
ঢাকাই চলচ্চিত্রে যে ক’জন সুদর্শন অভিনেতা এসেছেন সোহেল চৌধুরী তাদের একজন। সোহেল চৌধুরী কযেকটি ছবিতে পার্শ্ব-চরিত্রেও অভিনয় করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি আরেক ‘নতুন মুখ’ দিতির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। তবে নব্বই দশকে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। সোহেল চৌধুরী-দিতি দম্পতির এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৬ সালে দিতিও মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।