বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কথিত ‘ভালোবাসা দিবস’ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সরব হতে দেখা গেল নেট দুনিয়ার বাসিন্দাদের। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে তারা নানা মন্তব্য তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। বিজাতীয় এই অপসংস্কৃতিকে বয়কটের ডাক দিতে দেখা গেছে ধর্মপ্রাণ অনেক মানুষকে।
সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ থেকে যুবসমাজ বিধ্বংসী ভালোবাসা দিবসের বিরুদ্ধে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি ও দিবসটি বয়কটের ডাক দেয়া হয়। অনেক মুসলিম স্কলার দিবসটি প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান। তবুও অনেককেই এটি পালন করতে দেখা যায়।
ফেসবুকে শেয়ার করা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, পশ্চিমা দেশগুলোর অনুকরণে ঐ অপসংস্কৃতির মাতাল ঢেউ তোলেন কেউ কেউ। ভালোবাসা দিবসের এসব নোংরামি ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেছে নেটাগরিকদের।
দেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি দিবসটি নিয়ে লিখেছেন, ‘‘ভালোবাসা আল্লাহ তা'আলার এক অপূর্ব সৃষ্টি। আদি ও পবিত্র এ ভালোবাসার ব্যাপারে ইসলামের কোন আপত্তি নেই। আপত্তি আছে কেবল— ভালোবাসা দিবসের নামে বিবাহ বহির্ভূত হারাম সম্পর্ক প্রমোট করার জন্য ঘটা করে কোন দিবস পালন নিয়ে।
আদতে ভালোবাসা দিবস আমাদেরকে প্রকৃত ভালোবাসা শেখায় না। বরং আমাদেরকে মহান আল্লাহ তা'আলার দেয়া ১ টুকরো ভালোবাসার আবেগকে পুঁজি করে, বাকি ৯৯ টুকরো রহমত থেকে দূরে সরাতে চায়৷
আফসোস! শয়তানের প্ররোচনায় আমরা সেটা বুঝি না। বুঝলে হয়তো ভালোবাসা দিবসের নামে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বেহায়াপনার এই “ভ্যালেন্টাইন” ভাইরাস মুসলিম সমাজে কোয়ারেন্টাইনে থাকতো। মুসলিম সভ্যতার বলয় ভেঙে সংক্রমণের সুযোগ পেতো না। তাই এই ভাইরাসকে সবাই “না” বলুন।’’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘ভালোবাসা দিবস’ নিয়ে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে মানে বিশ্ব ভালবাসা দিবস নয়। বিশ্বের আর কোথায় বিশ্বের আর কোথাও এ দিন ভালবাসা দিবস নামে পালিত হয় না। ভালবাসায় জন্য কোনো সময় বা উপলক্ষ্য প্রয়োজন হয় নি। যিনি সত্যিকার ভালবাসেন তিনি সময় ও উপলক্ষ্যের জন্য অপেক্ষা করেন না। দিন তারিখ ঠিক করে যে ভালবাসা হয় তা লোক দেখানো কর্পোরেট ভালবাসা। এই কর্পোরেট, লোক দেখানোকে না বলুন। ভালবাসুন সবাইকে, সবকিছুকে সবসময়।’’
আব্দুল্লাহ আল আমিন লিখেছেন, ‘‘ভ্যালেন্টাইস ডে পালন করা মানে খ্রিস্টধর্ম পালন করা। এটা কোনো মুসলিম করতে পারে না ! খ্রিস্টীয় ধর্মের ধর্মীয় উৎসব “সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে” কে প্রতারণামূলকভাবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস অনুবাদ করে, ধর্মীয় দিবসকে সেকুলার রূপ দিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলন করা হচ্ছে, এটা নিঃসন্দেহে প্রতারণা!’’
মোঃ আব্দুল আলিম লিখেছেন, ‘‘ভালোবাসার জন্যে আর প্রিয় মানুষের পাশে থাকার জন্যে কোন ""দিবস পালনের"" প্রয়োজন হয়না....আমার মোনাজাতে,, আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থ থেকে দোয়া করাতে,,তার জন্যে নেক রহমাতে,,, আমি ভালোবাসা পাই খুঁজে। লোক দেখানো ভালো সবাই বাসতে পারেতাহাজ্জুদ পড়ে প্রিয় মানুষটাকে পাশে চাইতে কজনই পারে?’’
মুফতি আব্দুর রব ফরিদি লিখেছেন, ‘‘বর্তমানে ভালোবাসা মানেই যুবক-যুবতীর অবৈধ মেলামেশা, নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা, যা ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।