পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নতুন শনাক্ত এবং নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমেছে। তবে একই সময়ে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু বেড়েছে। একদিন আগে করোনায় ২০ জন মারা গেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮ জন। এছাড়া আগের দিনের ৫ হাজার ২৩ জনের শরীরে নতুন রোগী শনাক্ত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮৩৮ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে একদিন আগে শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ঘণ্টায় তা কমে হয়েছে ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮৭৪টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫৮টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব ৬৫৯টি। এসব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন বুথ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৫০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আগের নমুনাসহ এদিন মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ হাজার ৫৭৪টি। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ১ কোটি ২৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৬টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৩৪২টি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একদিন আগে দেশে ৫ হাজার ২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৪ হাজার ৮৩৮। এ নিয়ে দেশে ১৯ লাখ ৯ হাজার ৬৬৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হলো। নতুন সংক্রমণের পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতেও শনাক্তের হার কমেছে। একদিন এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হার কমে হয়েছে ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একদিন আগে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৮ হাজার ৮২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৫৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক শূন্য ৯০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, একদিন আগে করোনা শনাক্ত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৮ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২৮ হাজার ৮১৯ জনের। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ। একই সময়ে মৃত এই ২৮ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, বাকি ৮ জন নারী। এর মধ্যে ২৩ জন সরকারি ও পাঁচ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বাদে দেশের সাত বিভাগেই করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন ঢাকায়, ছয় জন মারা গেছেন খুলনায়, চার জন মারা গেছেন রাজশাহীতে। এছাড়া দুই জন করে মারা গেছেন চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে, এক জন করে মারা গেছেন বরিশাল ও সিলেটে।
এছ্ড়াা ১০ বছরের কম বয়সী ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সব বয়সী মানুষই করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছর, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর। তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন জন করে মারা গেছেন ৪১ থেকে ৫০ ও ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে। দুই জন মারা গেছেন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। আর ১১ থেকে ২০ বছর, ৩১ থেকে ৪০ বছর, ৮১ থেকে ৯০ বছর, ৯১ থেকে ১০০ বছর এবং ১০০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এক জন করে করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।