Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একটি ইনোসেন্ট কনভারসেশনকে নিয়ে গুটি পাকানোর চেষ্টা চলছে

ফাঁস হওয়া কথোপকথন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক দাবি করেছেন, একটি প্রকল্প নিয়ে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার ‘ইনোসেন্ট কনভারসেশনকে ঘিরে গুটি পাকানোর চষ্টা চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মন্ত্রীর একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।

গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর ২০ কোটি টাকার প্রণোদনার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ফোনালাপ ফাঁসের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি-না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই এটার তদন্ত করে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে বিষয়টিকে অতোটা গুরুত্বও দেয়ার কোনো কারণ নেই। ব্যাপারটা হচ্ছে, যারা এই অডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করছে তারা এতই দেউলিয়া যে, একটা ইনোসেন্ট কনভারসেশনকে (নির্দোষ কথোপকথন) তারা তাদের গুটি বানানোর চেষ্টা করছে। এর মানে হচ্ছে তাদের হাতে কোনো হাতিয়ার নেই।

আনিসুল হক বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাকে উত্তর দিচ্ছিলাম। তিনি একটা ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টার প্রজেক্ট ইনফো সরকার প্রজেক্টটা তার ব্রেইন চাইল্ড, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। যারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া তারাই এটা নিয়ে প্রপাগান্ডা করছে। আমার মনে হয় এটাকে তদন্ত করা হবে। এটাকে গুরুত্ব দেয়াও আমার মনে হয় সঠিক হবে না। কারণ আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলছি। তিনি আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি সেগুলোর জবাব দিচ্ছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের দু’টি বিভাগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তবে রায় দেয়ার সময় বলা হয়েছিল একবার-দুইবার এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে যদি সংসদ রাজি থাকে। কিন্তু সংসদ এটি গ্রহণ করেনি। তাই কেয়ারটেকার সরকারের কোনো বৈধতা নেই। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে এই কেয়ারটেকার সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য পছন্দের তালিকায় নাম দেয়নি বিএনপিসহ কয়েকটি দল। তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপও বর্জন করেছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সেখানে যারা নাম দেয়নি তাদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে আমি রাজি নই।
পরে আইনজীবীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকার অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী। এ সময় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আইন সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, বার কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ খসরুজ্জামান এবং সদস্য অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইনমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ