বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
২০২১ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১১ বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছে নেটিজেনরা।
মানবাধিকার কর্মী কামরুল ইসলাম ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন। তোমাদের আগামী সমৃদ্ধ হোক সেই দোয়া করছি।’
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার লিখেছেন, ‘এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সুন্দর ও সফল হোক তোমাদের ভবিষ্যত।’
মাহিন এন তালুকদার লিখেছেন, ‘এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে পাশের হার ৯৫.২৬%। অভিনন্দন কৃতকার্য সকল শিক্ষার্থীদের। অকৃতকার্যদের প্রতিও ভালবাসা রইলো। একবার হেরে যাওয়া মানেই শেষ নয়.... শেষ থেকেই নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। আগামীর জন্য শুভকামনা সকলের জন্য।’
লোটাস মিজান লিখেছেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেই রেজাল্ট ভালো হয়, তবে অতি ভালো হলে কিছু সমস্যা থেকেই যায়। তোমরা যারা জিপিএ-৫ পেয়েছো, তারা খুশিতে আত্মহারা হইও না। সামনে ভয়ংকর বিপদ। যে পরিমাণ জিপিএ-৫ পেয়েছে, তাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও জায়গা হবে না অনেকেরই! পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদই রাখলাম! আর যারা জিপিএ-৫ পাওনি তাদের হতাশ হবার কিছুই নাই, তোমাদের অনেকেই এ, এ- রেজাল্ট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সিট দখল করবে, ইনশাআল্লাহ্। কতটুকু জ্ঞান অর্জন করে রেজাল্ট করেছো সেই খেলাটাই হলো পাবলিক ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা। শুভ কামনা জ্ঞান অর্জনকারীদের। জ্ঞান শূন্য জিপিএ-৫ ধারীদের জন্য চরম অবস্হা অপেক্ষা করছে সামনে।’
উদ্বেগ প্রকাশ করে আবদুল মোতালেব লিখেছেন, ‘বছরের পর বছর শুধু পাশ আর পাশ । কিন্তু কি হচ্ছে এই পাশ দিয়ে । গতবার যারা পাস করেছে তারা এখনও বসে আছে, ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছে না। আবার অনেক ছেলে পাস করে বেকার হয়ে ঘুরছে, অভাবের তাড়নায় সংসারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকে পড়ালেখাও ছেড়ে দিয়েছে!’
এদিকে রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানাই। যারা হতে পারেনি, আমি মনে করি, একটা অস্বাভাবিক পরিবেশের মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের কোনো দোষ নেই। অভিভাবকদের বলবো, শিক্ষার্থীদের জন্য আপনারা সুযোগ করে দেবেন। অকৃতকার্য হওয়া তাদের কোনো অপরাধ না। এটা বিশ্বব্যাপী এই সমস্যা হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বে করোনা অতিমারির কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রসংশা করে এমডি আনসার উদ্দিন লিখেছেন, ‘অসাধারণ বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনার এমন ইতিবাচক বানী পাশ না করা ছাত্র/ছাত্রীদের মনে সাহস জোগাবে, ইনশাআল্লাহ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।