Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিযুক্ত শিক্ষককে একশোবার কান ধরে উঠাবসা করিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা !!

কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে শ্রীলতাহানির চেষ্টা...!

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রির্পোটার | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৩৪ পিএম

কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় অসহায় গৃহবধূকে গরুর গোবর দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটিয়েছে স্কুল শিক্ষক, অভিযোগ এলাকাবাসীর। অভিযুক্ত শিক্ষক কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরানখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং একই এলাকার মৃত শফিরদ্দির ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪০)।

ঘটনার পর থেকেই প্রভাবশালীরা গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখে গতকাল রাত্রে স্থানীয় মেম্বারের বাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যান হাসানের উপস্থিতিতে বিচারের নামে কিছু টাকা প্রদান করেছে এবং অভিযুক্ত লম্পট শিক্ষককে একশোবার কান ধরে উঠাবসা করিয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানাগেছে।

স্থানীয়রা জানান, পরানখালী গ্রামের জৈনিক দিনমজুরের স্ত্রী অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য
গরুর গোবর চাইতে যায়।

এসময় লম্পট শিক্ষক মনে কু-মতলবে এনে তাকে ভোর বেলাতে আসতে বলেন। তার কথামত ভোরের দিকে গৃহবধূ গরুর গোয়াল ঘরে প্রবেশ করে। সেসময় লম্পট শিক্ষক গৃহবধূকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানি চেষ্টা করে।

এসময় গৃহবধূ কোনমত তার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দৌড়ে বাড়িতে পৌঁছে তার স্বামীকে বিষয়টি খুলে বলেন।

এসময় ভুক্তভোগীর ছেলেরা বিষয়টি জানতে পেরে মায়ের ইজ্জতহানীর চেষ্টাকারী শিক্ষককে মারতে উদ্বত হয়। সেসময় স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে একটি হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়।

সুষ্ঠু বিচারকের কথায় চেয়ারম্যান হাসান আলী গৃহবধূর ও স্থানীয়দের শান্ত করে থামিয়ে রাখেন।

এ ঘটনায় এলাকার সচেতন অভিভাবক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা বলেন যিনি একজন শিক্ষক হয়ে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা করেছে। তাহলে তার থেকে আমাদের কোমলমতি শিশুরা কিভাবে রক্ষা পাবে।

প্রশ্ন এখন সবার মনে- এ বিষয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে সরেজমিনে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুল ইসলামের বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। তবে তার কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান হাসান আলী সত্যতা স্বীকার করেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করে দিয়েছি। তবে কিভাবে মিমাংসা করেছেন তার সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নাই।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ভেড়ামারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আহসানারা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুল ইসলাম এমন অপকর্ম করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলেন জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ