খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে করোনার প্রতিষেধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসে দুই ছাত্রী ইভটিজিং এর শিকার হয়েছেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন ওই ছাত্রীর ভাই। উত্তেজিত জনতা ও পুলিশের হাতে ধৃত ২ বখাটেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫ দিনের জেল দিয়ে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে। অন্য দুজনকে মুচলেকায় চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহনূর আলম ও ইভটিজিং এর শিকার দুই ছাত্রী জানান, তাঁরা উপজেলার তিনটহরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। করোনার প্রতিষেধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ আইটি সেন্টারে এসে টিকা নেওয়ার পর সংঘবদ্ধ বখাটের মাধ্যমে ইভটিজিং এর শিকার হন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ভাই মো. ইমাম হোসেন (১৭)প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রথমে নাজেহাল হয়। পরে ওই ছাত্রী ও তাঁদের ভাই বাড়ি ফেরার পথে মহামুনি বাস স্ট্রেশনের অদূরে সড়কে ওই বখাটে ২ যুবক সঙ্গীদের নিয়ে তাঁদের গতিরোধ করে আবারও ইভটিজিং করতে চাইলে ছাত্রীদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রীদের উদ্ধার করেন।

পরে বখাটে যুবক মো. শাকিল (১৯), বাদশা আলম (২০) কে ১৫ দিনের জেল ও মো. সাইফুল ইসলাম (১৭) ও মো. মাসুম (১৭) কে মুচলেখা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক এর জিম্মায় দেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুম্পা ঘোষ।