Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নিহত পাঁচ ভাইয়ের সাথে চালকের পূর্বপরিচিত ছিলেন না - র‍্যাব

পিকআপভ্যানের চালক আটক

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:০৫ পিএম | আপডেট : ১১:৫১ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

চকরিয়ায় পিকআপভ্যানের চাপায় নিহত পাঁচ ভাইয়ের সাথে চালকের পূর্বপরিচিত ছিলেন না বলে জানা গেছে। কুয়াশা ও বেপরোয়া গতির কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় চালক।

চাপা দেওয়ার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হতে পারে- স্বজনদের এমন দাবির মধ্যে চালককে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ তথ্য জানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব।

র‌্যাব আরও বলছে, ঘটনাটি পরিকল্পিত না হলেও পিকআপচালক সাইফুলের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। তবুও তিনি দুই বছর যাবত পিকআপ, চাঁদের গাড়ি ও তিন টনের ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চকরিযায় দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পূর্বে চালক সহিদুল ইসলাম সাইফুল পিকআপটি দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিভিত্তিতে চালানো শুরু করেন। কুয়াশা ও বেপরোয়া গতির কারণে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চকরিয়ায় ‍নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই পরিবারের বেশ ক’জন সদস্যকে চাপা দেন তিনি। নিহতরা বাবার শ্রাদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই ঘটনায় মারা যান পাঁচ সহোদর। ঘটনার পর মালিকের নির্দেশনায় আত্মগোপনে চলে যান সাইফুল।

চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ওই নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক পিকআপের চালক সাইফুলকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

সাইফুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মঈন জানান, ঘটনার সময় তারেক ও রবিউল নামে দুইজনসহ চকরিয়া থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে সবজি বোঝাই পিকআপ নিয়ে রওনা দেন সাইফুল। তারেক পিকআপ মালিক মাহমুদুল করিমের ছেলে ও রবিউল ভাগিনা। কুয়াশার মধ্যেও দ্রুত সবজি ডেলিভারির উদ্দেশে ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিতে পিকআপ চালাচ্ছিলেন সাইফুল।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চকরিযায় দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পূর্বে চালক সহিদুল ইসলাম সাইফুল পিকআপটি দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিভিত্তিতে চালানো শুরু করেন। কুয়াশা ও বেপরোয়া গতির কারণে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চকরিয়ায় ‍নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই পরিবারের বেশ ক’জন সদস্যকে চাপা দেন তিনি। নিহতরা বাবার শ্রাদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই ঘটনায় মারা যান পাঁচ সহোদর। ঘটনার পর মালিকের নির্দেশনায় আত্মগোপনে চলে যান সাইফুল।

চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ওই নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক পিকআপের চালক সাইফুলকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

সাইফুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মঈন জানান, ঘটনার সময় তারেক ও রবিউল নামে দুইজনসহ চকরিয়া থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে সবজি বোঝাই পিকআপ নিয়ে রওনা দেন সাইফুল। তারেক পিকআপ মালিক মাহমুদুল করিমের ছেলে ও রবিউল ভাগিনা। কুয়াশার মধ্যেও দ্রুত সবজি ডেলিভারির উদ্দেশে ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিতে পিকআপ চালাচ্ছিলেন সাইফুল।

র‌্যাব জানায়, কুয়াশা ও অতিরিক্ত গতির কারণে সে রাস্তার পাশে দাঁড়ানোদের খেয়াল করতে না পেরে তাদেরকে চাপা দেন। এরপর সাইফুল পিকআপ থেকে নেমে নিহতদের দেখতে এলেও মালিকের ছেলে তারেকের নির্দেশে সে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চালক সাইফুল পিকআপ মালিককে ফোন করে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানায়। গাড়িটির মালিক তাকে পিকআপটি কোনো এক স্টপেজে রেখে লোকাল বাসে করে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। মালিকের নির্দেশনা অনুযায়ী সাইফুল ডুলাহাজরায় পিকআপটি রাখে বাসে করে চকরিয়া গিয়ে মালিকের সঙ্গে দেখা করেন।

এ সময় পিকআপের মালিক মাহমুদুল তাকে ন্যূনতম ১ বছর আত্মগোপনে থাকার পরামর্শ দিলে তিনি প্রথমে বান্দরবানের লামার রাবার বাগানে আত্মগোপনে যান। পরবর্তীতে জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে অন্যত্র আত্মগোপনের উদ্দেশে ঢাকায় আসেন। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, পিকআপচালক সাইফুলের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও ২ বছর ধরে পিকআপ, চাঁদের গাড়ি ও তিনটন ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালাতেন। দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ আগে ওই পিকআপটি দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিতে চালানো শুরু করেন। এর আগে সাইফুল বান্দরবানের লামায় রাবার বাগানে চাকরি করতেন।

এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিকভাবে সাইফুল জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারের কেউ তার পুর্বপরিচিত নয়। মালিকের সঙ্গে এই পরিবারের কোনো পরিচয় আছে কি-না সাইফুল বলতে পারেনি। পিকআপের মালিক ও তার ছেলে, ভাগিনা বর্তমানে পলাতক। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি যদি মনে করেন ঘটনায় আরও কারো সংশ্লিষ্টতা বা অন্যকোনো মোটিভ রয়েছে তাহলে তিনি বিষয়টি দেখবেন।

এদিকে ওই দুর্ঘটনার পর থেকে দুর্ঘটনা কবলিত পরিবারে এখনো চলছে শোকের মাতম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ