পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ প্রয়োজনে বা বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানের পাওয়ার লিভারের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেন পাইলটরা। তবে বাংলাদেশ বিমানের ‘আকাশতরী’ ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ মডেলের পাইলট কোনো কারণ ছাড়াই তা ব্যবহার করেছেন। এমনকি ল্যান্ডিংয়ের পর ঘটনাটি দ্রুত লগবইতে লিখিতভাবে জানানোর কথা থাকলেও ক্যাপ্টেন রুবায়েত তা করেননি। এ অবস্থায় পরবর্তী ফ্লাইটের উড্ডয়নেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শঙ্কা ছিল। কিন্তু রক্ষা হয় ইঞ্জিনিয়ার শাখার নিয়মিত চেকিংয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে পাইলট কোনো কারণ ছাড়াই ১০০ ভাগের বেশি ইমার্জেন্সি পাওয়ার ব্যবহার করেছেন। সামনের মনিটরে বিপদ সংকেত জ্বলে ওঠার পর তড়িঘড়ি করে স্বাভাবিক পজিশনে নিয়ে আসা হয় পাওয়ার লিভারটি। ততক্ষণে পেরিয়ে যায় ১৩ সেকেন্ড। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর কিছুক্ষণ থাকলেই উড্ডয়নরত অবস্থাতেই বিমানে আগুন ধরতে পারতো। এমনকি ঝুঁকি ছিল বিস্ফোরণেরও।
পাইলটের এই ভুলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। জ্বলে গেছে বিমানের ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলে মেরামত না করা পর্যন্ত আগামী দুই থেকে তিন মাস বসিয়ে রাখতে হবে বিমানটি। ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ মেরামতসহ সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
বিমান দুর্ঘটনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন (অব.) সালাহ উদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেন, পাইলটের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু এটি পাইলটদের অভ্যাস তারা লগবুকে তথ্য লিপিবদ্ধ করেন না। অথচ লগবুকে এসব তথ্য লিখে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নিয়মও আছে।
প্রসঙ্গত, ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ মডেলের ৭৪ আসনের নতুন বিমানটি গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আনা হয়। এ ঘটনায় গাফিলতি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।