বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুতুবদিয়ায় দুই জন জেলের এক জালেই ধরা পড়েছে ১৪ লাখ টাকার লাল পোয়া মাছ। ভাগ্যবান এই জেলেরা হলেন, উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী পাড়া গ্রামের সাঁচি মিয়ার ছেলে মোঃ মিজান ও মোস্তাক আহমদের ছেলে ছৈয়দ নূর।
জানা গেছে, তাঁদের জালে আটকা পড়ে ১১৬টি লাল পোয়া মাছ। যার প্রতিটির ওজন ৮ থেকে ১৫ কেজি। মাছগুলো বিক্রি হয়েছে ১৪ লাখ টাকায়। কক্সবাজার ফিসারিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদসহ আরও কয়েকজন মিলে মাছগুলো কিনে নেন।
কুতুবদিয়ার জেলে ছৈয়দ নূর বলেন, কুতু্বদিয়া চ্যানেলে তিনি জাল বসান। বৃহস্পতিবার সকালে জাল তুলতে গিয়ে দেখেন, জাল টেনে তীরে আনা যাচ্ছে না। পরে আরও লোকজনের সহায়তায় জাল টেনে তোলা হয়। দেখা যায়, বড় বড় আকৃতির অসংখ্য লাল পোয়া লাফালাফি করছে। গণনা করে ১১৬টি পোয়া পাওয়া যায়। প্রতিটি মাছের ওজন ৮ থেকে ১৫ কেজি।
জেলে মোস্তাক আহমদ বলেন, প্রথমে মাছগুলো ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর ওঠে। তবে অনেক দরদামের পর কক্সবাজার ফিশারিঘাটের মোহাম্মদ সওদাগরসহ কয়েকজন মিলে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে মাছগুলো কিনে নেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, কুতুবদিয়া দ্বীপের ইতিহাসে এতগুলো পোয়া মাছ কোনও জেলের জালে ধরা পড়েনি। খবর পেয়ে স্থানীয়রা মাছগুলো দেখতে যায়। ঘটনাটি সবার মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি করে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আমিন জানান, এই ধরনের পোয়া মাছগুলো সহজে পাওয়া যায় না, এ মাছ সাগরের গভীরে থাকে, ভাগ্যক্রমে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে।
লাল পোয়া মাছগুলো এত মূল্যবান কেন? এমন প্রশ্নে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, লাল পোয়া মাছের বায়ুথলিটা সাধারণত এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এই বায়ুথলি (ফদনা) দিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসাজনিত কাজে ব্যবহারের জন্য নানা প্রকার সার্জিক্যাল মেডিসিন তৈরি করা হয়। তাই এই পোয়া মাছের দাম এত বেশি বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।