Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাল‌য়ে‌শিয়ায় আটক সা‌বেক হাইকমিশনারকে দ্রুত দে‌শে আনা হ‌বে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:০৮ পিএম

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ‌রিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের দূতাবাসে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।

২০০৯ সালে তিনি যখন হাইকমিশনার হিসেবে মালয়েশিয়াতে দায়িত্বরত ছিলেন, তখন সরকার তাকে দেশে ফিরতে বলার পর থেকে তিনি পলাতক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ডিপোর্টেশন সেন্টারে আটকে রাখা হয়। তাকেও সেখানে রাখা হয়েছে। আমাদের দূতাবাস মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। জেলহত্যার মামলায় খালাস পাওয়া নিয়ে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, তদন্তে দুর্বলতার কারণে তিনি ছাড়া পেয়েছিলেন। এটি আদালতের এখতিয়ার। তাকে আবারও সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করার এবং মামলাটিকে আবারও খতিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে, এটি আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার।

তিনি বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশে ফেরত নিয়ে আসব। কী কারণে মালয়েশিয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে অভিবাসন সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করার কারণ দেখিয়েছে। মালয়েশিয়াতে শরণার্থী কার্ড নিয়ে তিনি সেখানে থাকছেন- বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, তার শরণার্থী কার্ড রয়েছে কি না, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আমরা জানতাম যে, তিনি মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। অপরাধীদের বা অভিযুক্তদের পশ্চিমারা যে ভাবে আশ্রয় দেয়, মালয়েশিয়া সেভাবে আশ্রয় দেয় না।

তাকে মামলার কারণে ফেরত আনা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে এর উত্তরে তিনি বলেন, যেকোনো প্রবাসী যদি অপরাধ করেন বা অনিয়মিত হয়ে পড়েন, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফেরত আনা হয়। এখানে মামলার সঙ্গে সম্পর্ক দেখানোর প্রয়োজন নেই। মালয়েশিয়ায় অভিবাসন আইন ভঙ্গ করলে আমরা বাংলাদেশি নাগরিক ফিরিয়ে আনছি। জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড থাকায় তাকে ফেরত আনা কঠিন হবে কি না- এ প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। আমরা যদি নিশ্চিত হই তার জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড রয়েছে, জাতিসংঘ এমন কিছু করার কথা নয়, যাতে সদস্য রাষ্ট্রের স্বার্থ হানি হয়। তিনি বলেন, তাকে ছেড়ে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখি না। তিনি যেহেতু খালাসপ্রাপ্ত আসামি, সেহেতু তার বিরুদ্ধে কোনো রেড অ্যালার্ট ছিল না।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ বুধবার সকালে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম খায়রুজ্জামানকে আটক করে। তাকে দেশটির সেলাঙ্গর প্রদেশের আমপাং এলাকা থেকে আটক করা হয়। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন শেষে এক যুগের বেশি সময় ধরে দেশটিতে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন তিনি। খায়রুজ্জামান সাবেক সেনা কর্মকর্তা। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন তিনি। ওই হত্যাকাণ্ডের পর তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মিয়ানমার, মিসর ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন খায়রুজ্জামান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ