Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামী সাবেক মেয়র মুক্তির জামিন

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:২৩ পিএম

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি অন্তবর্তী জামিন লাভের পর কারগার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুক্তি পেয়েছেন।
এর আগে দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ সহিদুরের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।
সহিদুর এই মামলার প্রধান আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার ভাই এবং ওই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সাংসদ আতাউর রহমান খানের ছেলে। দীর্ঘ ছয় বছর এই মামলায় আত্মগোপনে থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পন করেন। তারপর দীর্ঘ ১৪ মাসেরও বেশি সময় তিনি কারাগারে ছিলেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, বৃহস্পতিবার এই মামলার এক আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রানী দাসের সাক্ষীর জন্য ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে উপস্থিত না থাকায় সাক্ষী হয়নি। পরে কারাগারে থাকা আসামী সহিদুরের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেন। আইনজীবীরা আদালতকে জানান, সহিদুর কারাগারে খুব অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। এরআগেও কারাকর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তার সুচিকিৎসার জন্য জামিন মঞ্জুরের দাবি জানান।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জামিনের বিরোধীতা করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দুপুর দুইটায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত সহিদুরের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর সহিদুর বিকেল চারটার দিকে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে বের হন। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে শহরের কলেজপাড়া এলাকায় তাদের বাসায় গিয়ে মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তার পারিবারিক সূত্র জানায়, সাক্ষাৎ শেষে চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকায় রওনা হয়ে গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে আনিসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ওই দুজন হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান, তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। তারপর তারা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ এই চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরআগে সহিদুরের বড় ভাই সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পন করেন। তিন বছরের অধিক সময় হাজত বাসের পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। তাদের অপর দুই ভাই জাহিদুর ও সানিয়াত এখনো পলাতক রয়েছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ