Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১২৭ বর্গ কিলোমিটারের খুলনা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করছেন মাত্র ১২০ জন

ডিজিটাল যুগে এনালগ ট্রাফিক ব্যবস্থা

খুলনা থেকে স্টাফ রিপোটার | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:১৫ পিএম

বিভিন্ন সময়ে বেড়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন সিটির আয়তন। এ মুহুর্তে সিটি করপোরেশনের ৩১ টি ওয়ার্ড ও ৬ টি ওয়ার্ড নিয়ে আয়তন প্রায় ১২৭ বর্গ কিলোমিটার। নগরীর আয়তন বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। প্রতিদিন মহানগরীর সড়কগুলোতে চলছে লক্ষাধিক যানবাহন ও ১০ লক্ষ মানুষ। এই ১২৭ বর্গ কিলোমিটারের খুলনা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনে ৫৬ টি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ১২০ জন ট্রাফিক সদস্য। তাও সম্পূর্ণ এনালক পদ্ধতিতে হাত, লাঠি ও বাঁশির সাহায্যে। এ জন্য একদিকে যেমন দায়িত্ব পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে, অন্যদিকে নগরীতে যানজট ও ছোট বড় দূর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর ১৬ টি পয়েন্টে সিগন্যাল বাতি থাকলেও ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সবই অকেজা। মেট্রোপলিটন পুলিশ নতুন সিগন্যাল বাতি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা বললেও, এখনই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র। নগরীর যানবাহন চলাচল আরও সুশৃঙ্খল করতে ১৯৮৭ সালে খুলনা নগরীর ১৬টি পয়েন্টে স্থাপন করা হয় সিগন্যাল বাতি। কিন্তু সংস্কারের অভাবে একে একে নগরীর ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস, শিববাড়ি মোড়, পাওয়ার হাউস মোড়, ফেরিঘাট, জোড়াগেট, বৈকালী, নতুন রাসআর মোড়, দৌলতপুরসহ সবগুলো সিগন্যাল বাতি নষ্ট হয়ে যায়। সিটি করপোরেশন সবশেষ ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিগন্যালগুলো মেরামত, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধসহ দেখভাল করেছে। এরপর গত ১৫ বছরে সংস্কার বা নতুন করে সিগন্যাল বাতি স্থাপনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সিগন্যাল বাতি না থাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে। অনেক সময় হাতের ইশারা না মেনেই চলে যায় যানবাহন।
শিববাড়ি মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ইসমাইল বলেন, এ মোড়ের সবকটি সিগনালই দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো রয়েছে। এ কারণে হাতের ইশারাতেই আমাদের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। হাতে লাঠি রাখতে হয়। পথচারী ও যানবাহনগুলো হাতের ইশারা মানতে চায় না। সিগনাল বাতি সচল থাকলে খুব সহজে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যেত। এতে যানজট ও দুর্ঘটনা কম হতো।
খুলনা বিআরটিএ’র সূত্র জানায়, খুলনায় নিবন্ধিত প্রায় ১ লাখ যানবাহন ও অনিবন্ধিত ৫০ হাজার ইজিবাইক সহ ১০ লক্ষ মানুষ মহানগরীর সড়কগুলোতে প্রতিদিন চলাচল করে।
একাধিকবার মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সড়কে সিগন্যাল লাইটের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে নতুন করে ৩৪টি পয়েন্টে সিগন্যাল লাইট স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছে সিটি করপোরশেনকে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমরা বেশ কয়েকবার খুলনা সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছি। তবে এখনো তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। দ্রুত এসব ট্রাফিক সংকেত বাতি সংস্কার বা নতুন বাতি স্থাপন করা জরুরি।
এদিকে, অবস্থায় আপাতত ট্রাফিক লাইট স্থাপন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সেই আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ