গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী, রোগী শনাক্তের হার ও মৃত্যু সবই কমেছে। এসময় দেশে করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ১৬ জন, শনাক্তের হার পরীক্ষার বিপরীতে ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩ জন। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর একদিন আগে আট হাজার ৩৫৪ জন নতুন শনাক্ত, ৪৩ জনের মৃত্যু এবং শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩ শতাংশ বলে জানিয়েছিল অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৩ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ২৮ হাজার ৭০৩ জন, আর শনাক্ত হওয়া ৮ হাজার ১৬ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জন। একই সময়ে সুস্থ হওয়া ১০ হাজার ৭২৫ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮২জন। এছাড়া করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪২ হাজার ৭৮৪টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬৪টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ৫৫ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৯টি, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৩টি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৮৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন আর নারী ৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৮ হাজার ৩২৮ জন, আর মোট নারী মারা গেছেন ১০ হাজার ৩৭৫ জন। মৃত ৩৩ জনের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ২ জন করে, আর ২১ থেকে ৩০ ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন এক জন করে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মারা যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছে সর্বোচ্চ ১৫ জন। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৬ জন। বাকিদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে আর বরিশাল ও রংপুর বিভাগে মারা গেছেন একজন করে। এছাড়া মারা যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৫ জন মারা গেছেন। আর একজনের মৃত্যু হয়েছে বাড়িতে।