পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, করোনা আক্রান্ত রোগীরা সেরে ওঠার পর পরবর্তী ১ বছর পর্যন্ত হৃদরোগ জটিলতার ঝুঁকিতে থাকে। নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি বলছে যে, কোভিড-১৯ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার পর গুরুতর হৃদ-জটিলতার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা ৫৫ শতাংশ বেশি। গবেষণাটির জ্যেষ্ঠ লেখক জিয়াদ আল-আলি বলেছেন, ‘আমরা যা দেখছি তা ভালো নয়। কোভিড-১৯ গুরুতর কার্ডিওভাসকুলার জটিলতা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি হলে হৃৎপিণ্ড পুনরুদ্ধার বা সহজে মেরামত করে না। এগুলি এমন ব্যাধি যা মানুষকে আজীবন প্রভাবিত করবে।’
প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার করোনা রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলেছেন যে, করোনা হয়নি এমন রোগীদের তুলনায় করোনা রোগীদের ৭২ শতাংশ প্রাথমিক সংক্রমণের ৩০ দিন পর থেকে পরবর্তী ১ বছর পর্যন্ত হৃদরোগ জটিলতায় বেশি ভুগেছে। সেরে ওঠা করোনা রোগীদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ৫২ শতাংশ এবং ৬৩ হার্ট অ্যাটাকের শতাংশ বেশি সম্ভাবনা ছিল। সামগ্রিকভাবে সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, কোভিড-১৯ রোগীরা ৫৫ শতাংশ বেশি হারে হৃদ-জটিলতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এই হৃদ-জটিলতাগুলোর মধ্যে সেরিব্রোভাসকুলার ডিসঅর্ডার যেমন স্ট্রোক, ইস্কেমিক এবং নন-ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ, পেরিকার্ডাইটিস, মায়োকার্ডাইটিস এবং হার্ট ফেইলিওর অন্তর্ভুক্ত।
আল-আলি বলেছেন যে, আগে থেকে বিদ্যমান হৃদরোগ এবং যারা আরও গুরুতর করোনা সংক্রমণে ভুগছেন, তাদের মধ্যে হৃদ-জটিলতার ঘটনা অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো, যাদের কখনও কোনো হৃৎপিন্ডের সমস্যা হয়নি এবং ঝুঁকি কম বলে বিবেচিত হয়েছে, তারাও কোভিড-১৯-এর পর হৃৎপিন্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আলি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমাদের তথ্য অনুসারে, যুবক এবং বৃদ্ধদের; পুরুষ এবং মহিলা; কালো, সাদা এবং সমস্ত জাতি; স্থূল মানুষ এবং স্থূলতাহীন মানুষ; যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের নেই; পূর্বে হৃদরোগ আছে এবং পূবের্র কোন হৃদরোগ নেই; মৃদু কোভিড সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং আরো গুরুতর কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের যাদের এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার ছিল, তাদের হৃৎপিন্ডের ক্ষতির ঝুঁকি অনেক বেশি।
এসব ফলাফল কোভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলোকে তুলে ধরেছে। এ সংক্রান্ত একটি নতুন অস্ট্রেলিয়ান গবেষণা বলছে যে, করোনা সংক্রমিত নয় এমন ব্যক্তিদের তুলনায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়বিক, হৃদ-জনিত এবং ধমনী রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। তীব্র সংক্রমণের পর এক বছর পর্যন্ত ২০ হাজার করোনা সংক্রমণ বিশ্লেষণকারী গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মায়োকার্ডাইটিস এবং পেরিকার্ডাইটিসের ঝুঁকি বিশেষত বেশি, এসএআরএস-কোভি-২ সংক্রমণের পর ১৮ থেকে ২১ গুণের মধ্যে অনুমিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এ ঝুঁকি অন্যান্য ভাইরাস জনিত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ও সংশিষ্ট টিকা গ্রহীতাদের তুলনায় বেশি।’
এ দু’টি গবেষণা এবং বেশিরভাগ কোভিড-১৯ পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা সংক্রান্ত গবেষণা ২০২০ সাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিয়ে কাজ করছে। তাই আল-আলির মতে, টিকাকরণ কোভিড-১৯ এর সাথে যুক্ত দীর্ঘমেয়াদী হৃদরোগ ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। তবে, এই দীর্ঘকালীন কোভিড জটিলতায় ভ্যাকসিনগুলো ঠিক কতটা সুরক্ষা দেবে, সেই তথ্য উপলব্ধ করতে আরও সময় লাগবে। সূত্র : নিউ অ্যাটলাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।