Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চমেক হাসপাতালে ওষুধ চুরিতে কর্মচারী চক্র

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

সাড়ে তিন লাখ টাকার সরকারি ওষুধ উদ্ধার
রোগীদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ বিনামূল্যের ওষুধ চুরি করে ফার্মেসিতে বিক্রি করে আসছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারীদের কয়েকটি চক্র। দুই কর্মচারীকে বিপুল পরিমাণ ওষুধসহ গ্রেফতারের পর এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ওষুধ চুরির ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চমেক হাসপাতালের গেট থেকে সোমবার দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত সাড়ে তিন লাখ টাকার সরকারি ওষুধ। গ্রেফতার দুজন হলেন- আশু চক্রবর্ত্তী (৩৫) ও মো. সৈয়দ (৬২)। এদের মধ্যে আশু হাসাপাতালের স্থায়ী কর্মচারী ও সৈয়দ আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে হাসাতালে কাজ করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান জানান, গ্রেফতারের সময় আশু ও সৈয়দের ব্যাগ তল্লাশি করে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। এসব ওষুধের বাজার দর এক লাখ ১০ হাজার টাকা। আশুর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসায় তল্লাশি করে আরও দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা দামের ওষুধ জব্দ করা হয়। গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, চমেক হাসপাতালের স্টোর থেকে বরাদ্দ হয়ে ওষুধগুলো ওয়ার্ডে যায়। সেগুলো বিনাম‚ল্যে রোগীদের কাছে সরবরাহ করার কথা। কিন্তু কিছু কর্মচারী ওষুধগুলো গোপনে ওয়ার্ডের শেলফ থেকে সরিয়ে ফেলে। পরে সেগুলো বিক্রি করে দেয় হাসপাতালের আশপাশে বিভিন্ন ফার্মেসিতে।
গ্রেফতার দুজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা ওষুধগুলো চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর অর্থোপেডিকস ওয়ার্ড থেকে চুরি করা বলে জানায় পুলিশ। এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে গ্রেফতার দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্মচারী, বিশেষ করে যারা আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে কাজ করে তারা এবং বহিরাগত দালাল এবং ফার্মেসির মালিক-কর্মচারী মিলে অন্তত ১২ থেকে ১৫টি চক্র ওষুধ চুরিতে সক্রিয়।
এদিকে ওষুধ চুরির ঘটনায় চমেক হাসপাতালের স্টোর অফিসার ডা. মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান জানিয়েছেন, ওষুধ চুরির ঘটনা তদন্তে সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ