Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রূপগঞ্জে জমি মালিকদের বাধার মুখে মেট্রোরেল কর্মকর্তা ও এডিসি

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

অধিগ্রহণকৃত রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকায় মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ১ এর বিল না দিয়ে সীমানা বুঝে নিতে এলে জমির মালিকদের বাধার মুখে পড়েন মেট্রোরেল এর কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জের এডিসি (রাজস্ব)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালী মৌজায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জমির মালিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের দাবি, কারো বাধা নয় বরং প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে এসেছিলেন তারা।

অধিগ্রহণকৃত এলাকা পিতলগঞ্জ মৌজার জমি মালিক সামসুল হক মুন্সি বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় বলেন, আমরা সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হতে চেয়েছি, তাই জমি অধিগ্রহণ করায় খুশি হয়েছিলাম। তবে জমির মূল্য বুঝে না পেয়ে জমি ছেড়ে দেব তা মেনে নেব না। একই গ্রামের আমিনুল ইসলাম ঝিনু ভুঁইয়া বলেন, আমাদের জমির ৮০ ভাগ বিল পরিশোধ না করা হলে আমরা জমি ছাড়বো না। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল ভুঁইয়া বলেন, ৩২০ বিঘা জমি থেকে মাত্র ২ বিঘার বিল দিয়ে পুরো জমি নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখা বুঝে নিতে চায়। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও জমি মালিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়বেন। অপর জমি মালিক মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, জমির বিল না দিয়ে জমি থেকে আমাদের তুলে দিলে কোথায় যাবো? বরং বিল দিলে ওই বিল দিয়ে অন্য এলাকায় জমি কিনে ঘর বাড়ি করতে পারবো। আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেছি। ওই রিটের রায় না আসা পর্যন্ত তাদের জমি নিতে দেব না।

পিতলগঞ্জ মাদরাসা কমিটির লোকজন তাদের বক্তব্যে বলেন, অধিগ্রহণ এলাকায় কবরস্থান, মসজিদ, মাদরাসা ও ৬ শতাধিক ঘর বাড়ি রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করতে আগে বিল প্রয়োজন। অথচ মেট্রোরেলের লোকজন জেলা প্রশাসনের লোকজন নিয়ে জমি বুঝিয়ে নিতে আসছে। এতে আমরা জমি মালিকরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এডিসি (রাজস্ব) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ১ প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে গিয়েছি। কারো বাধার শিকার হয়নি। তবে স্থানীয়দের দাবী দাওয়ার কথা শুনেছি। তাদের দাবি লিখিতভাবে জানালে বিষয়টি সুরাহার করা হবে। মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ১ এর ডেপুটি সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা জমি বুঝে নিতে আসিনি। পরিদর্শন করতে এসেছিলাম। জমির মালিকদের সঙ্গে সমাধা করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ