Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রসুনে আগ্রহ নেই কৃষকের

মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৭ এএম

ধান ফুরালো পান ফুরালো খাজনার উপায় কি, আর কয়টা দিন সবুর কর রসুন বুনেছি। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষকেরা রসুন চাষে আগ্রহ হারাতে বসেছেন। কারণ এবার বাজারে রসুনের দাম খুব কম। কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় চলতি মৌসুমে রসুনের ভালো ফলন পেলোও উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক পরিশ্রমের ফসল রসুন বিক্রি করে খরচের টাকাই উঠছে না কৃষকদের।
সরেজমিনে রসুন চাষিদের সাথে আলাপকালে জানান, গত মৌসুমে পর্যাপ্ত রসুন উৎপাদন হলেও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এবার কৃষকদের রসুন চাষে আগ্রহ নেই। কৃষকেরা দাবি করে বলেন, বিদেশ থেকে রসুন আমদানির ফলে আমরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি। রসুন চাষে করে এবার খরচের টাকা উঠছে না। এ সময় রসুনের দাম বাজারে থাকার কথা ১৮শ’ টাকা হতে ২ হাজার টাকা মণ। সেখানে বাজারে রসুনের দাম ৭শ’ টাকা থেকে ৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন। এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের আর সামনে বছরে রসুন আবাদ করবো না।
দেব গ্রামের রসুন চাষি খবির বলেন, এবার দু’বিঘা জমি কট নিয়ে রসুন আবাদ করেছি। রসুন ভালো হয়েছে, কিন্তু বাজারে রসুনের দাম খুব কম হওয়ার কারণে তাতে আমার লোকসান হবে। দু’বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করতে যে টাকা খরচ হয়েছে তার অর্ধেক টাকা ঘরে তুলতে পারবো কি না বলতে পাছি না।
মুন্সীপাড়ার রসুন চাষি জুলহাস সরদার বলেন, আমাদের সব জমি নদীতে বিলিন হয়েছে। মাত্র তিন বিঘা জমি নদীর পারে ভালো ছিলো। সেই জমিতে এ বছর রসুন চাষ করে ছিলাম। রসুন অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে ভাল দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ বছর গোয়ালন্দ উপজেলায় ২ হাজার ১৯ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে এবং রসুনের ফলন ভালো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ