রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দরের ভৈরব নদে ইউরিয়া সার বোঝাই কার্গো ডুবির ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ডুবে যাওয়া কার্গো উদ্ধার হয়নি। ফলে নওয়াপাড়া নদী বন্দরে কার্গো জাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ তাগাদা দিলেও জাহাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) কার্যাদেশে কাতার থেকে এ সার আমদানি করে ‘টোটাল শিপিং এজেন্সি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের দাবি, এমভি শারিব বাঁধন নামের ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটিতে ৬৮০ মেট্রিক টন (১৩ হাজার ৬০০ বস্তা) ইউরিয়া সার ছিলো। কোটি টাকার এই ইউরিয়া সারবাহী কার্গো জাহাজটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ডুবে যায়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারে নূন্যতম কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি।
বাংলাদেশে সরকারি সার আমদানিকারকদের কয়েকটি কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের অভিজ্ঞতা মতে, নদীর নাব্য সংকটে জাহাজে ফাটলের ঘটনা ঘটলেও সাথে সাথে তো জাহাজ ডুবে যায় না। সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কার্গো জাহাজ কিংবা নৌযান ভিড়িয়ে মালামাল আনলোড করার সুযোগ থাকে। তারপরও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যেতে লাগলে একপাশে মোটর দিয়ে পানি সেচে মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। তবে সর্বশেষ জাহাজ ডুবে গেলেও যথাসম্ভব চেষ্টা করে জাহাজ তুলতে পারলেও সার জমাট বাঁধে, তবে ভালো থাকে। জাহাজে থাকা ১৩ হাজার ৬০০ বস্তা সারের দাম প্রায় ১ কোটি টাকা হলেও বিদেশ থেকে এই সার আনতে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
নওয়াপাড়া নদী বন্দরের পরিচালক মাসুদ পারভেজ জানান, কার্গো জাহাজটি ত্রুটিপূর্ণ থাকার কারনে তলা ফেটে কার্গোটি ডুবে যেতে পারে। দীর্ঘদিন প্লেট পরিবর্তন না করলে এবং সংস্কার না করলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ভাটির সময় চরে কাদায় যদি কার্গোর তলা ফেটে যায় তাহলে তার প্লেটের মেয়াদ ও ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতেই পারে। কার্গো জাহাজটি উদ্ধারের জন্য ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রওনা করেছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ জালাল হোসেন বলেন, নাব্যতা হ্রাসের কারনে নদীতে জাহাজ ডুবে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। নদীর যে অংশে জাহাজ নোঙর করা হয় সে অংশে সাধারণত নাব্যতা সংকট দেখা দেয়না। তীরবর্তী অংশে কখনও কখনও চর দেখা দিলেও দূরে পানির গভীরে জাহাজ নোঙ্গর করে মাল লোড-আনলোডের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে নাব্যতা সংকটের কারনে জাহাজ ডুবির যৌক্তিকতা নেই।
তবে এ ব্যবসায়ী নেতাও প্রতিটি জাহাজ ডুবির ঘটনা সুনির্দিষ্ট তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।