Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জয়পুরহাটে পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন

মুহাম্মদ আবু মুসা, জয়পুরহাট থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

বুকভরা আশা আর স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা আলুর ফলন নিয়ে ঘরে ফিরতে চেয়েছিল। আচমকা বৃষ্টিতে সে আশা শেষ। সে স্বপ্ন এখন পানিতে ভাসছে। চলছে হাহাকার আর আহাজারি। তাদের উৎপাদন খরচই আর উঠানো সম্ভব নয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলুর জমিতে জমে থাকা পানির মধ্যে কৃষক পরিবারের সকলে মিলে আলু উদ্ধারের প্রচেষ্টা। জয়পুরহাট জেলায় সবেমাত্র শুরু হয়েছে আলু তোলা। ইতোমধ্যে জেলার ৩০ ভাগ জমির আলু উত্তোলন করা হয়েছে। আলু তোলা হয়েছে আরকিছু দিনের ভেতরেই বাকি আলুগুলো তোলা হতো ঠিক সেই মুহূর্তে হঠাৎ করেই এই বৃষ্টি হওয়ায় আলুর জমিগুলো এখন পানিতে ডুবে গেছে। এতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পানি নেমে গেলে তখনই কৃষকরা জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন। জয়পুরহাট সদর উপজেলার গংগাদাসপুর গ্রামের কৃষক গাজিউল ইসলাম জানান, আমি আট বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। ইতোমধ্যে ৫ বিঘা জমির আলু তুলে বিক্রি করেছি, আর তিন বিঘা জমির আলু তোলার মানুষও ঠিক করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার রাতে থেকে বৃষ্টি হওয়ায় আলুর জমি পানিতে ডুবে গেছে, আর আলু তোলা হলো না। তিনি বলেন, এমনিতেই আলুর দাম কম আলুর সেখানে এই অবস্থা এবার আমরা অর্থনৈতিক ভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হবো।
সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সবুর জানান, আমি ৩ বিঘা জমির আলু চাষ করেছি, সেই আলু সবই পানিতে ডুবে গেছে, আলুতে যা খরচ করেছি তার অর্ধেক টাকার আলু বিক্রি করতে পারবো কি-না তা নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় রয়েছি।
কালাই উপজেলার সড়াইল গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, এমনিতেই বাজারে আলুর দাম নেই। তিনি বলেন, আমি ২ বিঘা জমির আলু বিক্রি করে প্রায় ৮ হাজার টাকা লোকসানে আছি। তারমধ্যে এখন আবার বৃষ্টির কারণে আলুতে পচন ধরলে তখন চরম বিপাকে পড়তে হবে। এদিতে আলুর পাশাপাশি যারা সরিষা চাষ করেছেন তারাও দুঃচিন্তায় রয়েছেন। জেলাতে এবছর সরিষা চাষ হয়েছে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর জেলার ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, জেলায় ১৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বৃষ্টিতে আলুর ফসলের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখন নিধারণ করা হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ