বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠেছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগই কার্যত সফল হচ্ছে না। মুনাফা লুটছেন ব্যবসায়ীরা, ভোগান্তি বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের। এ অবস্থায় দরিদ্র নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য সরকার চালু করেছে ওপেন মার্কেট সেল বা ওএমএস কার্যক্রম। ওএমএস কার্যক্রমে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ওএমএস চালু করা হলেও খুলনায় ওএমএস এর দীর্ঘ মানুষের সারিতে প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে দরিদ্রদের সাথে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরাও শরীক হচ্ছেন। তবে তারা সবাই বোরখার আড়ালে, পর্দায় মুখ ঢেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর খালিশপুর আলমনগর মোড়ের কাছে ওএমএস লাইনে দাঁড়ানোে একজন গৃহিনীর সাথে কথা হয়। তার স্বামী নগরীর একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভের সাথে জানালেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না। প্রতিদিন বাজারে গিয়ে দেখি একেকটা পণ্যের দাম বাড়ছে। আজ চালের দাম বাড়লে কাল ডালের দাম বাড়ে। গ্যাসের দাম বাড়ে। তেলের দাম বাড়ে। তরিতরকারি দাম বাড়ে। সরকার মুখে মুখে বলছেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আমরা তো দেখি ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। যেটুকু মানুষ কিনছে, তা বাধ্য হয়ে বেঁচে থাকার জন্য কিনছে। তিনি আরো বলেন, বাজারে আটা ৪০ টাকা। ওএমএস এ ১৮ টাকা। মূলত আটা কেনার জন্যই তিনি এসেছেন।
লাইনে দাঁড়ানো তাবাস্সুম স্বর্ণা নামে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রী জানালেন, তার বাবা একজন সরকারি কর্মচারি। পরিবারে তারা ৬ সদস্য। চার ভাই বোনই বিভিন্ন স্তরে পড়াশুনা করছেন। তাদের বাবার বেতনে কোনভাবে সংসার চলছে। প্রতিদিন বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ছে। তাই বাধ্য হয়ে ওএমএস এর লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। প্রায় এক ঘন্টা ধরে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি জানালেন, তার সাথে তাদের এলাকার আরো কয়েকজন এসেছেন। লোকলজ্জায় পর্দায় মুখ ঢেকে এসেছেন তারা। সরকারের কাছে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রনের জোর দাবি জানান স্বর্ণা ।
ওএমএস এর লাইনে দাঁড়ানো অধিকাংশ মানুষই স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রির সরকারের এ উদ্যোগেকে স্বাগত জানিয়েছেন। একই সাথে বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রনের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।