পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘লতা মঙ্গেশকরকে আমাদের দিয়ে দাও তোমরা কাশ্মীর নিয়ে নাও।’ এক সময় পাকিস্তান এই প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতকে। উপমহাদেশের সংগীতাঙ্গনে এই প্রবাদটি এখনো উচ্চারিত হয়। কাশ্মীর নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ এখনো রয়ে গেছে। কিন্তু উপমহাদেশে সংগীত কিংবদন্তি সেই লতা মঙ্গেশকর আর নেই। ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে খবর বের হয়েছে, লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যু যেন মিলিয়ে দিয়েছে চিরশত্রু ভারত ও পাকিস্তানকে। এই দুই দেশের মধ্যে চিরশত্রুতা; প্রিয় লতার মৃত্যুতে ভারতের সঙ্গে চোখের পানি ফেলছে পাকিস্তানও। কয়েক বছর আগে সিনেমার মহানায়ক দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে একসঙ্গে এমন শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। শোকাতুর বিশ্ব, কাঁদছে উপমহাদেশের কোটি কোটি মানুষ।
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ জন্ম নেন তারা দল-মত ও দেশ- দেশান্তরের সীমানার বাইরে নিজেকে ছড়িয়ে দেন। লতা মঙ্গেশকর ছিলেন তেমনি একজন সংগীত শিল্পী। তিনি সুরের মূর্ছনায় মায়াজালে ফেলেছেন দেশ-দেশান্তরের কোটি কোটি ভক্ত অনুরাগীকে। মেলোডি কুইন লতা মঙ্গেশকর দীর্ঘ প্রায় ৮ দশক ভারতীয় উপমহাদেশের সংগীতভক্তদের সুরের মায়াজালে বেঁধে রেখে মৃত্যুবরণ করলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় চার সপ্তাহ মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কোকিলকণ্ঠী এই শিল্পী। গতকাল রোববার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পিটিআই। সংগীতের এই কিংবদন্তি হিন্দি, বাংলাসহ ৩৬টির বেশি ভাষায় গান গেয়েছিলেন। ফলে ভারতের সীমান্তের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি ৭৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাদুকরি কণ্ঠে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। তার মৃত্যুতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান শোকে মূহ্যমান। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। পশ্চিমবঙ্গে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীসহ কয়েকজন রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানর ছাড়াও অসংখ্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংস্কৃতির ব্যাক্তিত্ব শোক প্রকাশ করেছেন। গতকালই সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকে লতা অল্প সময়েই হয়ে উঠেছিলেন অপরিহার্য একটি নাম। গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার বলেছিলেন, ‘মাইকেল অ্যাঞ্জেলো মানেই যেমন চিত্রকলা, শেক্সপিয়ার মানেই যেমন ইংরেজি সাহিত্য, তেমনই ভারতীয় সিনেমার গান মানেই লতা মঙ্গেশকর।’
উপমহাদেশের সংগীত জগতের মহাতারকা লতা মঙ্গেশকর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে গত ১১ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনাভাইরাসমুক্ত হওয়ার পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার তাকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। তাকে দেখতে হাসপাতালে যান বোন আশা ভোঁসলে। বলিউডের আরো অনেকেই ছুটে যান এই মহাতারকার খোঁজ নিতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই জানান শুভকামনা। কিন্তু সবাইকে শোকে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিলেন এ শিল্পী।
কালজয়ী কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্ডোরে শাস্ত্রীয় সংগীত ব্যক্তিত্ব ও থিয়েটার শিল্পী পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ও শেবান্তির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার নাম ছিল হেমা। তবে বড় বোন লতিকার মৃত্যু হলে তার নাম বদল করে সেই নামের সঙ্গে মিল রেখে রাখা হয় লতা। বাবার সাহচার্যে খুব অল্প বয়সেই গান শেখা শুরু করেন লতা মঙ্গেশকর। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বাবার লেখা নাটকে অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন। তার ভাই-বোন মিনা, আশা ভোঁসলে, ঊষা এবং হৃদয়নাথ। তাদের সবাই দক্ষ গায়ক এবং সঙ্গীতজ্ঞ।
১৯৪২ সালে একটি মারাঠি সিনেমায় ‘মাতা এক সাপুত কি দুনিয়া বাদল দে তু’ গান দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। তবে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায় ১৯৪৮ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র মাজবুরের ‘দিল মেরা ঠোডা, মুঝে কাহিন কা না ছোড়া’ গানের মাধ্যমে। সেখান থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন ধ্রপদ শিল্পী, মারাঠি থিয়েটারের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি। তার কাছেই লতার গান শেখার শুরু। কৈশোরেই বাবাকে হারালেও গান শেখা ছাড়েননি। ওস্তাদ আমান আলী খানের কাছে ক্লাসিকাল শিখতেন লতা। তখন সংগীতাঙ্গনে চলছিল কেএল সায়গল, শামশাদ বেগম ও নুরজাহানদের যুগ। শুরুর দিকে লতা মঙ্গেশকরকে শুনতে হয়েছিল, তার কণ্ঠস্বর একটু বেশিই পাতলা। তাকে প্রথম সুযোগ দেন মাস্টার গুলাম হায়দার। তার পরেই আসে ‘মহল’-এর সেই বিখ্যাত গান ‘আয়েগা আনেওয়ালা’। সেই সিনেমা ১৬ বছরের মধুবালা ও ২০ বছরের লতা, দুজনের জন্যই ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। নায়িকা ও গায়িকার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে ওই সিনেমার পর। সেই পথ ধরেই লতার কণ্ঠ হয়ে ওঠে বলিউডের ‘গোল্ডেন ভয়েস’। ১৯৪৯ সালে লতার কণ্ঠে ‘জিয়া বেকারার হ্যায়’ উতলা করে তোলে শ্রোতাদের মন। ১৯৫৫ সালে ‘মন দোলে মেরা তন দোলে’ দুলিয়ে দেয় ভারতবর্ষ। ১৯৫৭ সালে ‘আজারে পরদেশী’ গানে তিনি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান; হয়ে ওঠেন সংগীত পরিচালক আর চলচ্চিত্র প্রযোজকদের নয়নের মনি। বাংলাদেশের একাধিক প্রজন্মের কাছেও লতার কণ্ঠ স্বপ্নের মতো। বাংলা সিনেমাতেও প্রায় ২০০ গান রয়েছে লতার। তার কণ্ঠের ‘প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে’, ‘রঙ্গিলা বাঁশিতে’, ‘নিঝুম সন্ধ্যায়’, ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘যা রে উড়ে যারে পাখি’, ‘বলছি তোমার কানে’, ‘চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়’ এমন অসংখ্য গান এ দেশের মানুষ মনে রাখবে আরো বহু দিন। প্রায় ৮ দশক ক্যারিয়ারে লতা মঙ্গেশকর বলিউডের লিড নারী কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। তিনি এক হাজারের বেশি হিন্দি এবং ৩৬টি আঞ্চলিক চলচ্চিত্রে ২৫ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে মধুবালা থেকে শুরু করে এই প্রজন্মের প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জন্য গান গেয়েছেন। তিনি বহুমুখী ভয়েস কোয়ালিটির জন্য সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিনসহ অসংখ্য কষ্ঠশিল্পী লতাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। লতার মৃত্যুর খবর শুনে কেউ কেউ চোখের পানিও ফেলেছেন।
লতা মঙ্গেশকর ১৯৮৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০০১ সালে ভারতরত্ন (ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার), ১৯৬৯ সালে পদ্মভূষণ (ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার) এবং ১৯৯৯ সালে পদ্মবিভূষণ (ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার) পান। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৯০তম জন্মদিনে ভারত সরকার তাকে ‘ডটার অব দ্য নেশন’ পুরস্কারে ভূষিত করেন।
লতা মঙ্গেশকর মূলত ১৯৪২ সালে বাবার মৃত্যুর পর ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত অভিনেত্রী হওয়ার চেষ্টা করে ৮টি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন। তবে চলচ্চিত্রগুলো কোনো সাফল্য পায়নি। ১৯৪২ সালে তিনি মারাঠি চলচ্চিত্র ‘কিটি হাসাল’র জন্য প্লেব্যাক গানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তবে, গানটি আলো দেখেনি।
কিংবদন্তি এই গায়িকা গান নিয়েই জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি বিয়ে করেননি। তার গানের খ্যাতি ভারতীয় সীমান্তের বাইরেও বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে পারফর্ম করেন। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করেছে। ফ্রান্স ২০০৭ সালে তাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার (অফিসার অব দ্য লিজিওন অব অনার) প্রদান করে। ১৯৯৯ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজক ভরত শাহ কিংবদন্তি এই গায়িকার নামে সুগন্ধী পণ্য চালু করেন। যার নাম ছিল লতা ইউ ডে পারফিউম। এটি ছিল লতা মঙ্গেশকর অনুমোদিত প্রথম পণ্য। অ্যাডোরা নামে একটি ভারতীয় হীরা রফতানি সংস্থার জন্যও ডিজাইন করেছিলেন। এই সংগ্রহটির নাম ছিল স্বরাঞ্জলি। যার পাঁচটি টুকরা লন্ডনের একটি জনপ্রিয় ব্রিটিশ নিলাম ঘর ক্রিস্টিতে নিলামে তোলা হয়েছিল।
রাজনীতি না করলেও লতা মঙ্গেশকর ১৯৯৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। তবে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজ্যসভার অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। যা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। অবশ্য সেই বিতর্ক টেকেনি। কারণ তিনি কোনো বেতন বা সুযোগ-সুবিধা নেননি। এমনকি একটি বাড়িও না।
উপমহাদেশের সংগীতভক্তদের প্রায় ৮ দশক সুরের মায়াজালে বেঁধে রেখে মাটির পৃথিবী ছেড়ে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। এই ‘সুরসম্রাজ্ঞীর’ মৃত্যুতে শোকের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো তার মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট করছে। বিবিসির করা শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘লতা মঙ্গেশকর : ৯২ বছর বয়সে ভারতের কালজয়ী গায়িকার জীবনাবসান। সিএনএন শিরোনাম করেছে, ‘৯২ বছর বয়সে গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোক করছে ভারত’। সিএনএন লতা মঙ্গেশকরকে অভিহিত করে ‘ভারতের নাইটিঙ্গেল’ হিসেবে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) শিরোনাম, ‘কালজয়ী গায়িকা লতা মঙ্গেশকর ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন’। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েক প্রজন্মের কাছে সংগীত ও সুর মানেই লতা মঙ্গেশকর। নিউইয়র্ক টাইমস তাদের শিরোনামে ‘লতা বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কণ্ঠের অধিকারী’ বলে উল্লেখ করে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে লতাকে বলা হয় হিন্দি গানের ‘আইকন’। ভ্যারাইটি ডটকম লতাকে অভিহিত করেছে ‘সুরের রানী’ হিসেবে।
লতা মুঙ্গেশকরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, এই সুরসম্রাজ্ঞীর মৃত্যুতে উপমহাদেশের সংগীতাঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো। লতা মঙ্গেশকর তার কর্মের মধ্য দিয়ে চিরদিন এ অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সদয় ও শ্রদ্ধেয় লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি আমাদের দেশে একটি শূন্যতা তৈরি করে গেলেন, যা পূরণ করা যাবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁকে ভারতীয় সংস্কৃতির একজন বলিষ্ঠ ধারক হিসেবে মনে রাখবে, যার সুরেলা কণ্ঠ মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখত।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বেজিং থেকে উর্দুতে একাধিক ট্যুইট বার্তায় লতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, লতা মঙ্গেশকর কয়েক দশক ধরে সংঙ্গীতের জগতে রাজত্ব করেছেন এবং তার কণ্ঠের জাদু চিরকাল বেঁচে থাকবে। একজন কিংবদন্তি আর নেই। লতা মঙ্গেশকর ছিলেন একজন সুরের রানি। তিনি কয়েক দশক ধরে সঙ্গীতের জগতে রাজত্ব করেছিলেন। তিনি ছিলেন সঙ্গীতের মুকূটহীন সম্রাজ্ঞী। তার কণ্ঠ হৃদয়ে রাজত্ব করবে। মানুষের হৃদয়ে তিনি সর্বকালীন। ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘ভারতের আইকন, ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরকে আমার হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা জানাই। তার পরিবার এবং বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। ভারতের নাইটিঙ্গেলের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।